|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চাই : সাবিনা খাতুন
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
শুক্রবার সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে বছরের প্রথম জয়টা পেয়ে গেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সোমবার (আজ) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। ড্র করলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। তবে ড্র করে নয়, বাংলাদেশ চায় সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে।
সোমবার বিকেল ৩ টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩ টায়।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ একটু ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। দীর্ঘ ৬ বছর পর দলটির সঙ্গে দেখা হয়েছে। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলটির শক্তি কেমন তা ছিল সাবিনাদের কাছে অজানা। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার পর সেই ধোঁয়াশা কেটে গেছে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সিঙ্গাপুরের মেয়েরা। ৩-০ গোলে বাংলাদেশ জিতেছে। জয়টা আরো বেশি গোলেও হতে পারতো।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পর এ বছর আর কোনো ম্যাচ নেই সাবিনাদের। তাই বছরের শেষ ম্যাচটা তারা জিততে চান। যদিও প্রথম ম্যাচের ফল ৩-০ হওয়ায় আত্মতৃপ্তিতে ডুবে যেতে চান না মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুর নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে সহজে জিততে দিতে চাইবেন না।
গত বছর সাফের আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলে জিতে দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করেছিল গোলশূন্য। ওই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নিয়েছে নিশ্চয়ই। কারণ, শক্তিতে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে সব ম্যাচ নিজেদের মতো করে নাও হতে পারে।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচটি জিতে ভালোভাবে সিরিজটা শেষ করতে চাই। আমরা আশাবাদী যে, জয় দিয়েই বছরটা শেষ করতে পারবো। বাকিটা আল্লার ইচ্ছা। আমাদের দলের সবাই ভালো আছেন। কারো কোনো ইনজুরি নেই।’
২০২৩ সালে এটি হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সপ্তম ম্যাচ। এ বছর বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে তিনটি ম্যাচ খেলেছে জাপান, ভিয়তেনাম নেপালের বিপক্ষে। এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে ঢাকায় দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে নেপালের বিপক্ষে। আর বছরের শেষ প্রান্তে এসে দুই ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
শুক্রবার সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে বছরের প্রথম জয়টা পেয়ে গেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সোমবার (আজ) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। ড্র করলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। তবে ড্র করে নয়, বাংলাদেশ চায় সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে।
সোমবার বিকেল ৩ টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩ টায়।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ একটু ধোঁয়াশার মধ্যে ছিল। দীর্ঘ ৬ বছর পর দলটির সঙ্গে দেখা হয়েছে। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলটির শক্তি কেমন তা ছিল সাবিনাদের কাছে অজানা। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার পর সেই ধোঁয়াশা কেটে গেছে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সিঙ্গাপুরের মেয়েরা। ৩-০ গোলে বাংলাদেশ জিতেছে। জয়টা আরো বেশি গোলেও হতে পারতো।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পর এ বছর আর কোনো ম্যাচ নেই সাবিনাদের। তাই বছরের শেষ ম্যাচটা তারা জিততে চান। যদিও প্রথম ম্যাচের ফল ৩-০ হওয়ায় আত্মতৃপ্তিতে ডুবে যেতে চান না মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুর নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে সহজে জিততে দিতে চাইবেন না।
গত বছর সাফের আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলে জিতে দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করেছিল গোলশূন্য। ওই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নিয়েছে নিশ্চয়ই। কারণ, শক্তিতে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে সব ম্যাচ নিজেদের মতো করে নাও হতে পারে।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচটি জিতে ভালোভাবে সিরিজটা শেষ করতে চাই। আমরা আশাবাদী যে, জয় দিয়েই বছরটা শেষ করতে পারবো। বাকিটা আল্লার ইচ্ছা। আমাদের দলের সবাই ভালো আছেন। কারো কোনো ইনজুরি নেই।’
২০২৩ সালে এটি হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সপ্তম ম্যাচ। এ বছর বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে তিনটি ম্যাচ খেলেছে জাপান, ভিয়তেনাম নেপালের বিপক্ষে। এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে ঢাকায় দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে নেপালের বিপক্ষে। আর বছরের শেষ প্রান্তে এসে দুই ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হওয়া নজিরবিহীন সংঘর্ষের তদন্ত শুরু করেছে ফিফা। এর ফলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলছে মেসি এবং নেইমারের দুই দেশই।
মারাকানায় সংঘর্ষের ঘটনায় ফিফার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে দুই দেশকেই। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের বিপক্ষে অভিযোগ হলো- তাদের দেশের সমর্থকদের উৎপীড়ন। গ্যালারিতে গিয়ে প্রথমে সংঘর্ষ ঘটানোর কর্মকাণ্ড করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরাই। একই সঙ্গে ম্যাচ ৩০ মিনিট বিলম্বে শুরু করার সম্পূর্ণ দায় দায় চাপানো হয়েছে আর্জেন্টিনার ওপর।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিপক্ষে ফিফার অভিযোগ হলো, ‘স্বাগতিক বা আয়োজক হিসেবে যথেষ্ট নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারার ব্যর্থতা।
রিও ডি জেনিরোয় গত বুধবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দু’দেশের ফুটবলারদের সারি বেধে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় গ্যালারির একাংশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিল সমর্থকরা।
দুই দেশের পতাকার প্রতি একে অপরে নিন্দাসূচক মন্তব্য করছিলো। যে কারণে সংঘর্ষ, চেয়ার ছোড়াঁছুড়ি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রায়ট পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। তারা মূলত লাঠি চার্জ করে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের ওপর। প্রতিবাদে লিওনেল মেসিরা এগিয়ে যায়। এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের কেই কেউ নিজেরও সংঘর্ষে জড়ান। পরে মেসিরা মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হয় ৩০ মিনিট পর। এরপর নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে ১-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
জয়ের পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ মেসি লেখেন, ‘মারাকানায় দারুণ জয় পেলাম। কিন্তু ব্রাজিলের মাটিতে আরও একবার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিগ্রহের ঘটনার জন্য এই ম্যাচটা আরও বেশি করে মনে থাকবে।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ফুটবলে মাঠের ভেতরে ও বাইরে হিংসাত্মক ঘটনার কোনও জায়গা নেই।’ এরপরই বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রত সংস্থা ডিসিপ্লিনারি কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিরাট কোহলি হাঁকালেন বিশ্বরেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন শ্রেয়াস আয়ারও। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। অর্থাৎ ফাইনালে যেতে কিউইদের করতে হবে ৩৯৮ রান।
মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মিলে ৮.২ ওভারে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। এমনভাবে ব্যাটিং করছিলেন তারা, যেন এটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে সমান চারটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
রোহিত আউট হলেও ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলে ফেলে ১১৮ রান। ২৩তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন গিল।
গিল মাঠ ছাড়ার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপদ যেন আরও বাড়ে। আয়ার আরও বেশি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৫ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৫০টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন কোহলি।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ১৬৩ রান যোগ করেন কোহলি আর আয়ার। অবশেষে টিম সাউদি ভাঙেন এই জুটি। ১১৩ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
এরপর সেঞ্চুরি হাঁকান মারমুখী আয়ারও। ৬৭ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ট্রেন্ট বোল্ডের শিকার হন আয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকান ৮টি ছক্কা!
সূর্যকুমার যাদব শেষদিকে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ২ বলে ১ করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটার। তবে লোকেশ রাহুল ২০ বলে ৩৯ রান করে দলকে চারশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ৭৯ রানে উঠে যাওয়া শুভমান গিল শেষ ওভারে নামলেও মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পান, ৮০ রানে থাকেন অপরাজিত।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০০ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন লিগে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচ এটি। উভয় দলের জন্য এ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শেষ আটে টিকে থাকতে। পাকিস্তানের জন্য খাতা কলমে। তবে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন, তারা আশা ছাড়তে রাজি নন।
এমন কঠিন ম্যাচে টস জয়ের পর ইংল্যান্ড ব্যাটিং নিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ইংল্যান্ড আগে ব্যাটিং নেওয়ার পাকিস্তানের আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
এবার নিয়ে বিশ্বকাপে চতুর্থ আসর খেলছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। প্রথমবার খেলেছিলেন ২০১১ সালে। সেবার বিশ্বকাপ জয় করেছিলো ভারত। এরপর গত একযুগে বিশ্বকাপে যত ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় এই ব্যাটার- একবারও শূন্য রানে আউট হননি।
কিন্তু রোববার সেই স্বাদটিও নিয়ে নিলেন তিনি। এই প্রথম বিশ্বকাপে ডাক মারলেন ভারতীয় ব্যাটার। রীতিমত ৯টি বল খেলে কোনো রান না করে ডেভিড উইলির বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে।
এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পাঁচ ম্যাচে কোহলি করেছেন যথাক্রমে ৮৫, ৫৫, ১৬, ১০৩ এবং ৯৫ রান। ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা ছিল বিশ্বকাপে কোণঠাসা জস বাটলারের দলের বিরুদ্ধেও বড় রানের ইনিংস আসবে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু ভক্তদের হতাশ করার পাশাপাশি কোহলি গড়লেন লজ্জার নজিরও।
এই নিয়ে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হলেন কোহলি। লজ্জার এই রেকর্ডে কোহলি ছুঁয়ে ফেললেন শচিন টেন্ডুলকারকে। শচিনও ভারতের জার্সি গায়ে ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তিনি ৩৪টি শূন্য করেছিলেন ৭৮২টি ইনিংসে। বিরাট ৩৪টি শূন্য করলেন ৫৬৯টি ইনিংসে।
এখনও পর্যন্ত একদিনের বিশ্বকাপে ৩২টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। ৫৩.২৩ গড়ে করেছেন ১৩৮৪ রান। বিশ্বকাপে তার তিনটি শতরান এবং ৯টি অর্ধশতরান রয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া পাহাড়সম ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে যখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ তখনই এক প্রান্তে আগলে রেখে যুদ্ধ করে গেছেন রিয়াদ একাই। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও।
অথচ রিয়াদকে দল থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচকরা। অজুহাত ছিল রিয়াদকে তথাকথিত ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে।
তিন মাস পর আবার ঠিকই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে। সেখানে ভালো ইনিংস ও ফিটনেসে নিজেকে প্রমাণ করেই বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেন রিয়াদ।
বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই মুহূর্তগুলো সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। এক পর্যায়ে রিয়াদ হেসেই বলে ফেলেন, ‘বিশ্রামটা বেশিই হয়েছিল। কিন্তু তবুও আলহামদুলিল্লাহ। এসবতো আমার আয়ত্তে নেই। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে’।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
গোল করেছেন, গোলের রূপকারও কিলিয়ান এমবাপে। ফলে ঘরোয়া লিগে নিজেদের মাঠে স্ট্রাসবোর্গের বিপক্ষে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি)। ৩-০ গোলে পেয়েছে পিএসজি।
ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। গনজালো রামোসকে অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। এমবাপে সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি। ম্যাচের বয়স ত্রিশ মিনিট পার হতেই পিএসজি দ্বিতীয় গোল পায়। কার্লোস সোলের করেন গোলটি। এ গোলটির রূপকার ছিলেন এমবাপে।
৭৭ মিনিটে ফ্যাবিয়ান রুইজ তৃতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ফ্রেঞ্চ লিগের বর্তমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিস।স্ট্রাসবোর্গের বিপক্ষে জয় পিএসজিকে নিসের খুব কাছে নিয়ে এসেছে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নিসের ঠিক নিচেই রয়েছে পিএসজি। তবে উভয় দল তাদের নিজ নিজ অবস্থান হারাতে পারে। বর্তমানে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে মোনাকো রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দলটি একটা ম্যাচ কম খেলেছে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মেটজের বিপক্ষে ম্যাচ তাদের। এ ম্যাচে জয় পেলেই মোনাকো শীর্ষে চলে আসবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রাউন্ট রবিন লিগের গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ আজ মুখোুমখি হচ্ছে স্বাগতিক ভারত ও গত আসরের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত উভয় দলই অপরাজিতের তকম ধরে রেখেছে। কিন্তু আজকের ম্যাচের পর একটা দলের কাছে এই তকমা আর থাকবে না। একটা দলকে পরাজিতদের দলে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ধর্মশালায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এবারের বিশ্বকাপে শুধু ভারত ও নিউজিল্যান্ড এখন পর্যন্ত অপরাজিত। উভয় দলই চার ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে। তবে রান রেটে নিউজিল্যান্ড ওপরে রয়েছে। আজকের ম্যাচ শেষে আর রানরেটে নয় পরিস্কার দুই পয়েন্টের ব্যবধানে একে অপর থেকে এগিয়ে থাকবে।
ধর্মশালার এ মাঠে টস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। টসজয়ী অধিনায়ক সাধারণত প্রতিপক্ষের হাতে ব্যাট তুলে দেন। কেননা পরে ব্যাট করা দলের জয়ের শতকরা হার বেশি। ৫৭ ভাগ ক্ষেত্রে পরে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে। বিশ্বকাপে অন্য বেশির ভাগ মাঠে রানবন্যা হলেও এখানকার পিচগুলো একটু কৃপণ ধরনের। রান দেওয়ার ব্যাপারে অতটা উদার নয়। ফলে প্রথম ইনিংসে গড় রান মাত্র ২৫৪। সর্বশেষ ১০ ইনিংসের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে।
দিবা-রাত্রির ম্যাচের ক্ষেতে এখানে পেসাররা আধিপত্য করে থাকে। পেসার যেমন গতি পায় তেমনি বাউন্সার। ফলে জাসপ্রিত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্টরা বল করার সময় বেশ উচ্ছ্বসিত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।
অতীত রেকর্ড আজকের ম্যাচে মাঠে নামার আগে ভারতকে উজ্জীবিত করবে। এ পর্যন্ত দুই দল ১১৬ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের জয় ৫৮ ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের জয়ের সংখ্যা ৫০। সর্বশেষ পাঁচ লড়াইয়ের চিত্র নিউজিল্যান্ডের জন্য বেশ নাজুক। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয় ভারতের। অন্য দুই ম্যাচে রেজাল্ট হয়নি। তবে শুধু যদি বিশ্বকাপের কথা বলা হয় তাহলে আবার ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। আইসিসির এই টুর্নামেন্টে ভারত নিজেদের আর খুঁজে পায় না। ৯ ম্যাচের তিনটিতে জয় তাদের। আর বিশ্বকাপে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় ভারতের। তবে ভারত স্বাগতিক হওয়ায় এবার চিত্র বদলাতে পারে।
আজকের ম্যাচটি মূলত লড়াই হবে ভারতের ভয়ঙ্কর ব্যাটিং লাইন বনাম নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং লাইন। বিতর্ক আসতেই পারে। কেননা জসপ্রিত বুমরার নেতৃত্বে ভারতের বোলিং লাইনও যথেষ্ট শক্তিশালী। আবার নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনও।
কঠিন সব পরীক্ষায় পাস করে ভারত আজ আরও একটা কঠিন ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে। পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নামার আগে তারা দুই শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছে। সে তুলনায় নিউজিল্যান্ডকে খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি। চার ম্যাচের মধ্যে তারা যেসব দলকে হারিয়েছে তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় দল শুধু ইংল্যান্ড।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
একই ম্যাচে দুই দলের ওপেনিং জুটিতে জোড়া রেকর্ড সৃষ্টি হলো বিশ্বকাপে। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসতে হলো একটি দলকেই। ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ হলেন সেই সৌভাগ্যবান জুটি। পরাজয়ের দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো পাকিস্তানের আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল হক।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ ২৫৯ রানের জুটি গড়েন। ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৬৩ রান করে আউট হন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে এটি তার ২১তম শতরান।
মার্শ করেন ১০৮ বলে ১২১ রান। এ দ দাপটে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে তোলে ৩৬৭ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ বার দুই ওপেনার শতরান করলেন। ওয়ার্নারদের এই জুটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তুলল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটাই ওপেনিং জুটিতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড।
পাকিস্তানের দুই ওপেনারের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আবদুল্লাহ শফিকি এবং ইমাম-উল হক প্রথম পাক ওপেনিং জুটি, যারা বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরানের জুটি গড়লেন। ১৩৪ রান তুলেছিলেন আব্দুল্লাহ-ইমাম জুটি। ৬৪ রান করেন আবদুল্লাহ শফিকি। ইমাম করেন ৭০ রান। তাদের এই রেকর্ড জুটি যদিও পাকিস্তানের হার বাঁচাতে পারেনি। তবে এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দল মিলিয়ে চার ওপেনারই ৫০ বা তার বেশি রান করল।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৬৭ রান করে। জবাবে পাকিস্তান শেষ হয়ে যায় ৩০৫ রানে। ৬২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান। এ বারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় জয়।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৩০ অক্টোবর এ বছরের ব্যালন ডি অর জয়ী খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ তালিকায় ৩০ জনের নাম থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন লিওনেল মেসি ও আর্লিং হালান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার মতে দুইজনই ব্যালন ডি অর জেতার সামর্থ্য রাখে।
কার হাতে ব্যালন ডি অর দেখতে চান - এমন প্রশ্নে জটিলতায় পড়েছেন গার্দিওলা। উভয়ে যে তার খেলোয়াড়। মেসি সাবেক খেলোয়াড় আর হালান্ড বর্তমানের। তাই অদ্ভুত এক উপায় বাতলে দিয়েছেন গার্দিওলা। শুক্রবার এক সংবাদে সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমি দুটো ব্যালন ডি অরের ব্যবস্থার কথা বলেছি। একটা থাকবে মেসির জন্য, অন্যটা অন্যদের।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। হালান্ড জিতেছেন ট্রেবল। প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপ। এ সময়ে তিনি ৫৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫২টি।
গার্দিওলা আরও বলেন, আমরা ট্রেবল জয় করেছি। প্রচুর গোল করেছে হালান্ড। মেসির যখন সময়টা খারাপ যায় তখন অন্যরা ভালো খেলে। সত্যি কথা বলতে কি আমি হালান্ডকে সমর্থন দেব কারণ আমরা যা করেছি তা অর্জনে হালান্ড সহায়তা করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে মেসি বিশ্বকাপ জয় করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস। দুই ওপেনার ভালো শুরু করলেন। দুজনই ফিফটি পেলেন। তারপরও ভারতের বিপক্ষে হঠাৎ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৩৭ রান তুলতে হারায় ৪ উইকেট।
সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও এই জুটিতে মূল অবদান মুশফিকেরই। হৃদয় ভীষণ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন।
মন্থর ব্যাটিং করে যখন সেট হলেন, তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন হৃদয়। ৩৫ বলে ১৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮২ রান। মুশফিক ৩২ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ রানে অপরাজিত আছেন।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। বাংলাদেশ কেমন করবে এমন একটা শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেন ছোট তামিম এবং লিটন দাস। ১০ম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারেন তানজিদ তামিম।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছিলেন তানজিদ তামিম। দারুণ সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গায় পাওয়ার পর কেন যেন নিজেকে মেলেই ধরতে পারছিলেন না। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
এরপর আরও ৭ ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তাকে; কিন্তু খোলস ছেড়ে বের হতেই পারছিলেন না তিনি। সর্বোচ্চ রান ১৬। এমন পরিস্থিতিতে তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানোর দাবিও উঠেছিলো জোরালোভাবে।
কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপরই আস্থা রাখছিলো। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ভারতের বিপক্ষে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান তামিম।
ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৪১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ফিফটি করার পর কুলদিপ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৩ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরেন তিনি।
প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৩ রান করে তিনি মোহাম্মদ সিরাজের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে বসেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটন দাস ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন। জাদেজাকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৬৬ রান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস। দুই ওপেনার ভালো শুরু করলেন। দুজনই ফিফটি পেলেন। তারপরও ভারতের বিপক্ষে হঠাৎ চাপে বাংলাদেশ।
দুই হাফসেঞ্চুরিয়ান যে ফিরে গেছেন। মাঝে আউট হয়েছেন আরও দুজন। সবমিলিয়ে ১৩৭ রান তুলতে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। চলছে ২৮ ওভারের খেলা।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। বাংলাদেশ কেমন করবে এমন একটা শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেন ছোট তামিম এবং লিটন দাস। ১০ম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারেন তানজিদ তামিম।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছিলেন তানজিদ তামিম। দারুণ সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গায় পাওয়ার পর কেন যেন নিজেকে মেলেই ধরতে পারছিলেন না। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
এরপর আরও ৭ ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তাকে; কিন্তু খোলস ছেড়ে বের হতেই পারছিলেন না তিনি। সর্বোচ্চ রান ১৬। এমন পরিস্থিতিতে তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানোর দাবিও উঠেছিলো জোরালোভাবে।
কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপরই আস্থা রাখছিলো। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ভারতের বিপক্ষে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান তামিম।
ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৪১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ফিফটি করার পর কুলদিপ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৩ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরেন তিনি।
প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৩ রান করে তিনি মোহাম্মদ সিরাজের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে বসেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটন দাসও সাজঘরে ফিরেছেন। জাদেজাকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেছেন ৬৬ রান।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ আজ দুপুর আড়াইটায়। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলতে পারবেন কী পারবেন না, তা নিয়ে ম্যাচের আগেরদিন স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শুধু জানিয়েছেন, আজ সকালে স্ক্যান রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও প্রায় একই কথা বলা হচ্ছে।
তবে, আজ সকাল থেকে সাংবাদিকরা অপেক্ষা করেও বুঝতে পারছেন না, আসলে বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলতে পারবেন কী পারবেন না। সাকিব আল হাসান খেলতে না পারলে তার পরিবর্তে একাদশে কে আসবেন? সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
শুধু তাই নয়, পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে আর কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, সেটাও জানার সম্ভবনা কম। তবুও, আগেরদিন বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখে একাদশ কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে একটা অস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
ওপেনিং নিয়ে যেহেতু বাংলাদেশ দলের একটু সমস্যা হচ্ছে, সেখানে একটা পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে। হয়তো তানজিদ হাসান তামিমকে বাদ দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ওপেনিং করিয়ে নিচের দিকে একজন স্পিনার বেশি খেলানো হতে পারে। শেখ মাহদি এবং নাসুম আহমেদের যে কেউ একজন হয়তো খেলতে পারেন স্পিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে। পেস ডিপার্টমেন্টেও পরিবর্তন আসতে পারে।
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। আজ তাকে একাদশে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। হয়তো ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদও একাদশে চলে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাসকিন এবং শরিফুল কিংবা মোস্তাফিজের দু’জনকে বসতে হবে সাইড বেঞ্চে।
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। এই পরিস্থিতিতে আজ ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাংলাদেশের।
ভারতীয় একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি তাদের। সে ক্ষেত্রে এই ম্যাচেও তাহলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেতে পারেন শার্দুল ঠাকুর।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসুম আহমেদ/মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ/তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ/মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবিন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদিপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ, জশপ্রিত বুমরাহ।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটনের জন্ম দিয়েছিলো নেদারল্যান্ডস। এর আগে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছিলো আফগানিস্তান। সেই আফগানরা আজ কি আরেকটি অঘটনের জন্ম দেবে?
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আজ (১৮ অক্টোবর) আফগানিস্তানের মুখোমুখি হলো নিউজিল্যান্ড। টস জিতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমাতউল্লহ শহিদি।
ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ং, রাচিন রবিন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক, অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, লকি ফার্গুসন, মিচেল সান্তনার, ম্যাট হেনরি এবং ট্রেন্ট বোল্ট।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইকরাম অলিখিল, মোহাম্মদ নবি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, ফজল হক ফারুকি, নাভিন-উল হক।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। বাংলাদেশকে ৯৯ রানে হারিয়েছে লঙ্কানরা।
ডাম্বুলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় উদীয়মান টাইগাররা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোরব) প্রথম ওয়ানডেতে লঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পারভেজ হোসেন ইমন।
ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে আহান বিক্রমাসিংহের দল।
বৃষ্টির কারণে ডি এল মেথড অনুসারে ৪৭ ওভারে ২৫১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩৮ ওভারে দলীয় ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের ইনিংস।
দলীয় ৪৫ রানেই ছিল না ৫ উইকেট। এদিন বলার কোনো জুটি গড়তে পারেনি ইমার্জিং টাইগাররা। ৫ রান করে আউট হয়ে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও অমিত হাসান। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মাহমুদুল হাসান জয়। ২৭ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
দলের হয়ে একমাত্র ফিফটি পান আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৮৪ বল খেলে ৬৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ইনিংসের শেষ বলে বিক্রমাসিংহের কাছে ক্যাচ হয়ে বিজয়কান্থের শিকার হন তিনি। এছাড়া রিশাদ হোসাইন করেছেন ১৫ রান এবং রিপন মন্ডল করেছেন ১৫ রান।
লঙ্কানদের হয়ে আশিয়ান দানিয়েল ৩০ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪টি উইকেট। ইশান মালিঙ্গা পেয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া বিজয়কান্ত বিয়াসকান্থ নিজের বোলিং ফিগারে যোগ করেছেন ২টি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল লঙ্কানরাও। ডাক মেরে আউট হয়েছেন ওপেনার সোহান ডি লিভারা। তবে সে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন অপরপ্রান্তে থাকা মোহাম্মদ শামাজ । ৮৯ বলে ৬২ রান করেছেন এই লঙ্কান ওপেনার।
৭১ বলে ৬৬ রান করেছেন দিনুশ্রী পারনাভিথানা। ৫৩ বলে ৬৮ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক আহান বিক্রমাসিংহে। তিন ফিফটির উপর ভর করে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে রিপন মন্ডল শিকার করেন ৪টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল হাসান, রিশাদ হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :
ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। উইকেটে টিকে থাকতে পারলে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন এই আফগান ওপেনার, এর আগে অনেকবার দেখিয়েছিলেন। এবারও ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে সে পথেই হাঁটছিলেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একের পর এক বোলার পরিবর্তন করেও রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেটে স্পর্শ লাগাতে পারছিলেন না।
অবশেষে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখালেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। সে সঙ্গে পেসাররা সাফল্য পাচ্ছিল না বলে যে আফসোস তৈরি হয়েছিলো, সেটা কাটাতে পারলেন মোস্তাফিজ। ৪৭ রানে থাকা গুরবাজকে ডিপ কভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। তার স্লোয়ার বুঝতে না পেরেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু ডিপ কভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিদ তামিম ক্যাচটি তালুবন্দী করতেই শেষ হয়ে গেলো আফগানদের সম্ভাবনাময়ী একটি ইনিংস।
এর আগের ওভারে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির উইকেট তুলে নেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। তাওহিদ হৃদয় সেই ক্যাচটা লুফে নিতেই পতন ঘটে আফগানদের তৃতীয় উইকেটের।
এ রিপোর্ট লেখার সময় আফগানিস্তানের রান ২৭,১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৮। ২ রান নিয়ে মোহাম্মদ নবি এবং ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নজিবুল্লাহ জাদরান।
এর আগে ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন সাকিব। এরপর দ্বিতীয় উইকেট নিতেও সাকিবেই ভরসা করতে হলো বাংলাদেশ দলকে। আফগান ব্যাটাররা যখন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে তখন সাকিবের বলেই ক্যাচ তুলছেন তারা। সে ধারাবাহিকতায় আফগান টপ অর্ডার রহমত শাহের উইকেটটাও নিলেন সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন রহমত। সেই ক্যাচ তালুবন্দী করে নেন লিটন দাস। ৮৩ রানের মাথায় পড়লো আফগানদের দ্বিতীয় উইকেট।
টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা কী সত্যিই ভালো হলো না খারাপ হলো- এ হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করে দিয়েছিলো ভক্ত-সমর্থকরা। কারণ, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনাই এনে দিয়েছিলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান।
তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, শুরুতে উইকেট থেকে পেসাররা যে সুবিধা আদায় করতে পারবেন বলে ভেবেছিলেন অধিনায়ক সাকিব, তা কী ভুল ছিল? দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে যেন শুরু থেকেই উড়তে শুরু করেছিলো আফগানরা।
শেষ পর্যন্ত কোনো পেসার নয়, শুরুতেই ব্রেক থ্রু উপহার দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বলে ক্যাচ দিতে বাধ্য হলেন ইবরাহিম জাদরান। ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে তানজিম হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন ইবরাহিম।
২৫ বলে ২২ রান করে আউট হলেন আফগান এই ওপেনার। তাদের দলীয় রান তখন ৪৭।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
|
|
|
|