২০ টাকায় নেমেছে আলুর দাম
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাজারে এখন ২০ টাকা কেজি দরে মিলছে আলু। যা একমাস আগেও ছিল ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে আলুর সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য সবজিতেও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে, দাম কমায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নতুন আলু কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। ৩০ টাকার আলু বাছাই করা বড় সাইজের। তবে গড়পড়তা আলুর দাম ২০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এ দাম এক মাসের চেয়ে ৫৩ শতাংশ কম। আবার গত বছরের ঠিক এ সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ গত বছরও এ সময় আলুর দাম বেশি ছিল।
শান্তিনগর বাজারের আলু বিক্রেতা মফিজুল হাসান বলেন, ভরা মৌসুমে আলুর দাম কমই থাকে প্রতিবছর। তবে এবার যেহেতু বছরজুড়ে আলুর দাম বেশি ছিল, সেখানে এ দাম কমাটা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে ক্রেতার কাছে।
ফারাজ হুসাইন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বেশি দামে আলু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে এখন যখন দাম কম পাচ্ছি, ভালো লাগছে। আসলে আলুর দাম সব সময় ২৫-৩০ টাকার মধ্যে থাকা দরকার। নাহলে সামান্য বাড়তে পারে। তবে ৬০-৭০ টাকা যুক্তিযোগ্য ছিল না।
গত বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল আলুর দাম। বেশিভাগ সময় খুচরা বাজারে এক কেজি আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর আমদানিও হয়েছে কিছুটা। তবে বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি, বরং দাম বেড়েছে। শেষ এখন দেশের বাজারে আগাম আলু ওঠায় দাম কমছে।
এদিকে এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় খুচরায় দাম কম। আবার গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে আলুর দাম অনেক কমেছে। যাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আগাম আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক হতাশ। অনেকে উৎপাদন খরচ না ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এমন হলে আগামী মৌসুমে আগাম আলুর চাষ কমে যাবে।
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাজারে এখন ২০ টাকা কেজি দরে মিলছে আলু। যা একমাস আগেও ছিল ৬০ টাকার ওপরে। ভরা মৌসুমে আলুর সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য সবজিতেও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে, দাম কমায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নতুন আলু কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। ৩০ টাকার আলু বাছাই করা বড় সাইজের। তবে গড়পড়তা আলুর দাম ২০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এ দাম এক মাসের চেয়ে ৫৩ শতাংশ কম। আবার গত বছরের ঠিক এ সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ গত বছরও এ সময় আলুর দাম বেশি ছিল।
শান্তিনগর বাজারের আলু বিক্রেতা মফিজুল হাসান বলেন, ভরা মৌসুমে আলুর দাম কমই থাকে প্রতিবছর। তবে এবার যেহেতু বছরজুড়ে আলুর দাম বেশি ছিল, সেখানে এ দাম কমাটা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে ক্রেতার কাছে।
ফারাজ হুসাইন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বেশি দামে আলু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে এখন যখন দাম কম পাচ্ছি, ভালো লাগছে। আসলে আলুর দাম সব সময় ২৫-৩০ টাকার মধ্যে থাকা দরকার। নাহলে সামান্য বাড়তে পারে। তবে ৬০-৭০ টাকা যুক্তিযোগ্য ছিল না।
গত বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল আলুর দাম। বেশিভাগ সময় খুচরা বাজারে এক কেজি আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর আমদানিও হয়েছে কিছুটা। তবে বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি, বরং দাম বেড়েছে। শেষ এখন দেশের বাজারে আগাম আলু ওঠায় দাম কমছে।
এদিকে এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় খুচরায় দাম কম। আবার গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে আলুর দাম অনেক কমেছে। যাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আগাম আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক হতাশ। অনেকে উৎপাদন খরচ না ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এমন হলে আগামী মৌসুমে আগাম আলুর চাষ কমে যাবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণে আর বাধা থাকছে না। সব ধরনের বাধা উঠিয়ে নেওয়া হলো। এমনকি এখন থেকে ব্যাংকারদের বিদেশে ভ্রমণে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কোনো অনুমতির নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এক সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংকারদের বিদেশে ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো অনুমতি নিতে হবে না। ব্যাংকের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনারের কর্মকর্তারা যেতে পারবেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ভারত থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চালের একটি চালান এসেছে। চালবাহী জাহাজটি শনিবার রাত সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ভারত থেকে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এজন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পূর্বাচলের কাঞ্চনব্রিজ সংলগ্ন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এবারের বাণিজ্যমেলায় বিআরটিসি শাটল বাসের পাশাপাশি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মোবিলিটি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে উবার।
এতে দর্শনার্থীরা মেলায় যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দর্শনার্থীরা উবার ব্র্যান্ডেড বুথ বা উবারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশেষ প্রোমো কোড সংগ্রহ করতে পারবেন। মেলার মূল ভবনের বামে পার্কিং স্পটে উবার পিকআপ এবং ড্রপঅফের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের নিরাপদ ভ্রমণকে উৎসাহিত করতে উবার বিশেষ প্রোমো কোড সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে বিশেষ এই উদ্যোগকে সফল করতে পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৫ এর অংশীদার হতে পেরে উবার সম্মানিত বোধ করছে। আমরা উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক পরিবহন সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মেলায় আগত দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, বিআরটিসির শাটল বাসের পাশাপাশি যাতায়াতকে সহজ ও নিরাপদ করবে এই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। এছাড়া উদ্যোগটি দর্শনার্থীদের মেলায় স্মার্ট যাতায়াত পরিষেবাকে সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
পারভেজ খান নামে এক দর্শনার্থী উবার এক্সেলে পুরো পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, আমার পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি। সবার সঙ্গে আমার বৃদ্ধ মা-বাবাও এসেছেন মেলা দেখতে। তাই তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরাসরি উবার নিয়ে চলে এসেছি। সঙ্গে আবার ৫০ শতাংশ ডিস্কাউন্ট ছিল।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিল থেকে ৫ শতাংশ সুদে দেওয়া ঋণ নিয়মিত আদায়ে উৎসাহিত করতে সরকার ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহক নিয়মিত ঋণ আদায় বা পরিশোধ করে তাদের এ প্রণোদনা দেওয়া হয়। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ-আদায় বাড়াতে চলতি বছরও এ প্রণোদনা সুবিধা অব্যাহত রাখবে সরকার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় বাড়াতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়ন করা হলে তার বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়া যাবে। ঋণখেলাপি গ্রহীতা এ প্রণোদনা পাবেন না। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্মল এন্টারপ্রাইজ খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদহারে বিতরণ করা ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে, যথাসময়ে আদায় বা পরিশোধে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহক প্রত্যেককে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হয়।
এ সুবিধার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে বিতরণ করা ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে এ প্রণোদনা সুবিধা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার ও কম্প্রেসর তৈরি করা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এসব শিল্পে কর ছাড় দিয়ে আসছে সরকার। এসব শিল্প এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছে। দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় এবং তাদের স্বাবলম্বী করতে এতোদিন তাদের কর হার কমানো ছিল। সেটাই বাড়ানো হয়েছে। মানে করছাড় প্রত্যাহার করে নিলো এনবিআর।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এনবিআরের এই নির্দেশনা ২০২৫-২০২৬ করবর্ষ হতে কার্যকর হবে, যা ২০৩২ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। প্রজ্ঞাপনে বেশ কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত হতে হবে;
শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে;
শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মোল্ড ও ডাইস তৈরির ক্ষমতা থাকতে হবে;
শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব poly urethane foaming plant, powder coating plant এবং সক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এর ব্যবস্থা থাকতে হবে;
শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এনবিআরের অনুমোদিত হতে হবে এবং বিদ্যমান ব্যবসার পুনর্গঠন বা এইরূপ ব্যবসা বিভাজন দ্বারা গঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে মেশিনারি অথবা স্থাপনা হস্তান্তরের মাধ্যমে গঠিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে পারবে না;
এবং প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে এনবিআর প্রদত্ত অনুমোদন প্রত্যাহার করতে পারবে।
খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণ ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার তৈরির প্রতিষ্ঠানকে করছাড় দিয়ে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর এনবিআর থেকে আদেশ জারি করা হয়েছিল। যাতে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর হ্রাস করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। উৎপাদনের তারিখ হতে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এর আগে ২০০৯ সাল থেকে এসব খাতকে করছাড় দিয়ে আসছে এনবিআর। সে সময় ৫ শতাংশ হারে কর দিতো হতো।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
আগামী বছরের (২০২৬ সালের) মধ্যে সরকারি ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা মিলবে। এর মাধ্যমে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রয়োজন নেই। আগামী ১০ বছরে ১০টি তৈরি করা গেলে তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেজার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিডার মাল্টিপারপাস হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী বছর যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত হবে সেগুলো হলো- জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট (সিলেট) অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালীর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আগামী এক বছর এই ৫টা অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমাদের মূল ফোকাস থাকবে। এর বাইরে অন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কাজ অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, অন্যগুলো আমরা বাদ দিয়ে দিচ্ছি না বা বন্ধ করে দিচ্ছি না। আগামী ১০ বছরের যে শিল্পায়ন তার জন্য এই ৫টা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঠিকভাবে দাঁড় করানো বেশি প্রয়োজন।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ১৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ চলছে। ১২২টি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, ৭ হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারী আছেন ২১২ জন।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অব্যবহৃত জায়গায় সোলার পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিপিপি মডেলে সোলার প্যানেল করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সরকারের যেসব মিল ও কারখানা লোকসানে আছে বা বন্ধ রয়েছে- সেগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০২৬ সালের শেষে অতিরিক্ত ১৩৩ জন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বেজাতে যুক্ত করবো। আশা করছি তারা ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন। এর মাধ্যমে আড়াই লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার গুলশানে অবস্থিত এমজিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ উপলক্ষে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, এমজিআইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের লক্ষ্য থাকে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আস্থা ও গুণগতমানের প্রতীক হিসেবে, মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করার প্রচেষ্টায় পাশে থাকতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ডিরেক্টর সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রধান কার্যালয়ের অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এমজিআইয়ের বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও অফিসগুলোতে সম্প্রচারিত হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে এমজিআইয়ের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে এদিন ৫০ বছরে পদার্পণের বিশেষ টিশার্ট পরিধান করেন। দেশব্যাপী এমজিআইয়ের বিভিন্ন কার্যালয়, ফ্যাক্টরি ও ডিপোতে বিশেষ সাজসজ্জা, তোরণ ও ফটো বুথ স্থাপন করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও দেশব্যাপী এমজিআইয়ের বিভিন্ন বিলবোর্ডে ৫০ বছরে পদার্পণের বিশেষ কমিউনিকেশন প্রচারিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও বিশেষ ক্যাম্পেইন চালানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫ উদ্বোধন হয়েছে। নববর্ষের প্রথম দিন আজ বুধবার ( ১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সারা বছর ধরে চলবে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি কাটছাঁট হচ্ছে উন্নয়ন ব্যয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগেই প্রায় ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা কমানো হচ্ছে ব্যয়।
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সময়ে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।
বিশাল অঙ্কের ব্যয় কমানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাদের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চাহিদা চূড়ান্ত করা হয়। এবার একটু আগেভাগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সভায় সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সাত হাজার ১২৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। ডিটিসিএ’র কোনো বরাদ্দ না কমলেও বিআরটিসির প্রায় পুরো টাকাই কেটে নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) চার প্রকল্প থেকে কাটছাঁট হচ্ছে এক হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এমআরটি লাইন-১ থেকে যাচ্ছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি। আর এমআরটি লাইন-৬ থেকে কাটছাঁট হচ্ছে ৩২৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সচিবালয় থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা মূল উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলেও সেটি বাদ যাচ্ছে। এমআরটির চার প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে চার হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
এদিকে খরচ কমাতে এবার সরকার আগে থেকেই অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ১২.২৯ শতাংশ। গত পাঁচ মাসে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় দুুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে সাক্ষাৎ বৈঠক করেন। এ সময় বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল শুল্ক এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস রেগুলেশন সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে এক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মক্ষীন হচ্ছেন, সেগুলো তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি দলটি পোশাক খাতের জন্য নির্বিঘ্ন এবং আরও দক্ষ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাধাগুলো অপসারণের বিষয়ে এনবিআরের সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য ইনামুল হক খান (বাবলু), আসিফ আশরাফ ও মো. শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সোর্সিংয়ের জন্য ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য বর্তমান নিয়ম সংশোধনের বিষয়ে এনবিআরকে অনুরোধ জানান।
বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, কারখানাগুলো বন্ড লাইসেন্স ব্যতীত রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কাঁচামাল ক্রয় করতে পারে না, যা কি না নন-বন্ডেড কারখানাগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য বাধা তৈরি করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল কর্তৃক উত্থাপিত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে এনবিআর নন-বন্ডেড কারখানাগুলোকে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদানের উপায়গুলো অনুসন্ধান করবে।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে কাষ্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো সহজতর করা, বিশেষ করে আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের ছাড়পত্রের জন্য প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও ত্বরান্বিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানান।
প্রত্যুত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান পরিষেবাগুলোকে আরও দ্রুততর, সময় সাশ্রয়ী এবং আরও দক্ষ করার জন্য এনবিআর এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ফরেন পোর্টফোলিও বিনিয়োগ (এফপিআই) বাড়াতে অনুসন্ধান করছে টেরা পার্টনার্স ইউএসএ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাজার পরিবেশ দেখে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি ইয়ার্ডেন মারিয়ামা, সিএফএ।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন টেরা পার্টনার্স ইউএসএ এর প্রতিনিধি ইয়ার্ডেন মারিয়ামা।
এ সময় বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, সিটি ব্যাংক ব্রোকারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. আফনান ইউসুফ ও সিটি ব্যাংক ব্রোকারেজের রিচার্স ও ইনভেস্টমেন্ট হেড এ কে এম ফজলে রাব্বী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কীভাবে ফরেন পোর্টফোলিও বিনিয়োগ (এফপিআই) বাড়ানো যেতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশে সুন্দর বিনিয়োগ পরিবেশ আছে এবং এ দেশের বিনিয়োগ ভবিষ্যৎ আরও সম্ভাবনাময় বলে টেরা পার্টনার্স ইউএসএ এর পক্ষ থেকে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
টেরা পার্টনার্স ইউএসএ প্রায় ২০ বছর যাবৎ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার এখন থাইল্যান্ডে। সম্প্রতি ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ডে খরচ বেড়েছে বাংলাদেশিদের।
এর আগে ভারতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন বাংলাদেশিরা। প্রতি বছরই প্রতিবেশি দেশটিতে চিকিৎসা, কেনাকাটা ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে অসংখ্য বাংলাদেশি ভারতে যান। এতে ক্রেডিট কার্ডে ভারতেই সব থেকে বেশি খরচ করতেন বাংলাদেশিরা। এখন সেই জায়গা দখলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড। এর ফলে ক্রেডিট কার্ডে ভারতে বাংলাদেশিদের ব্যয় তিন নম্বরে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার এখন থাইল্যান্ডে। এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৪২ কোটি টাকা। অক্টোবরে খরচের পরিমাণ একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি টাকায়। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে দেশটি। যেখানে গত সেপ্টেম্বরেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটক ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। ভিসা চালুর আশ্বাসও পাওয়া যায়নি। প্রতি বছরই সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক ভারতের কলকাতা, দিল্লি, দার্জিলিং, সিকিম, মেঘালয়ে যেতেন। ভিসা জটিলতার কারণে ভারতের পরিবর্তে এখন থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকেছে বাংলাদেশি পর্যটকরা। এর ফলে ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ডে খরচও বেড়েছে।
দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয় এ প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এক মাসের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১৯৭ কোটি টাকা বা সাড়ে ৭ শতাংশ আর বিদেশে খরচ বেড়েছে ৭৮ কোটি টাকা বা সাড়ে ১৮ শতাংশের বেশি। অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। অক্টোবরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৯৯ কোটি টাকা। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৪২১ কোটি টাকা। বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ ব্যবহার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবরে আমেরিকায় খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ৭ কোটি টাকা বা ৮ শতাংশের বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত অর্থ খরচ করেন তার ২৮ শতাংশের বেশি খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডে। অক্টোবর মাসে বিদেশের মাটিতে খরচ হওয়া ৪৯৯ কোটি টাকার মধ্যে ১৪১ কোটি টাকায় খরচ হয়েছে এই দুই দেশে। ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। অক্টোবরে ভরতে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৫৪ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি।
বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে এরপরে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটিতে অক্টোবরে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৪৩ কোটি টাকা যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৩০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সিঙ্গাপুরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ ১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে ১২৯ কোটি টাকা খরচ করেছেন। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশিদের খরচ বেড়েছে ১৮ কোটি টাকা। এ দেশে বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি করেন নগদ অর্থ তোলার ক্ষেত্রে। অক্টোবরে ১২৯ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ৪৭ কোটি টাকায় বিদেশিরা নগদে উত্তোলন করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা তেলে ভ্যাট ও অগ্রিম কর কমানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সয়াবিনসহ বিভিন্ন তেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তটি আজ (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এনবিআরে জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল, অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। এছাড়া অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল এবং পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর অব্যাহতি–সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।
এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট রইলো না। সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করার ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা হয়েছে। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ৮৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা। যদিও দাম বাড়ানোর পরও স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেলের বাজার।
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাইস ব্রান অয়েল বা ধানের কুঁড়ার তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে শুল্কারোপের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি এজন্য অপরিশোধিত ও পরিশোধিত—উভয় ধরনের কুঁড়ার তেল রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপের সুপারিশ করেছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ১০ ও ১২ ডিসেম্বর দু’দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। তিন দিনে দু’দফা দাম বাড়ানোর পর এখন কিছুটা কমানো হলো। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭০৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৩৭ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ২৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
|
|
|
|
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
গত সপ্তাহে বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এমন মন্দা শেয়ারবাজারে মিরাকল (অলৌকিক ঘটনা) ঘটিয়েছে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ। লোকসানে নিমজ্জিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার দাম পছন্দের শীর্ষে ছিল গত সপ্তাহজুড়েই। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে লোকসানে পড়া প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির শেয়ারের এই দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। আর কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দাম বাড়ার কারণ তাদের জানা নেই।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২২ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
শুধু গত সপ্তাহ নয়, চলতি বছরের ২৬ নভেম্বরের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২৬ নভেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে ১১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম ২৯ টাকা ৮০ পয়াসায় উঠে। অর্থাৎ মাত্র ১১ কার্যদিবসে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার বিষয়ে ১০ ডিসেম্বর ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে বার্তা প্রকাশ করা হয়। ওই বার্তায় ডিএসই জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে, তার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২১ সালের মার্চের পর কোম্পানিটি দীর্ঘদিন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। তবে সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা লোকসান করে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৫৫টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে, ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং দশমিক ২০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে।
মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল এইচআর টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। ১৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- সায়হাম কটনের ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৫ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ, লুব-রেফ বাংলাদেশের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ১৫ শতংশ এবং আমরা টেকনোলজিস এর ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ দাম বেড়েছে।
|
|
|
|
|
|
|