নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতির অভিষেক অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম
Online desk (DTV BANGLA NEWS):ঢাকা: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আসিওয়াজু বোলা আহমেদ তিনুবুর অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। নাইজেরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবুজাস্থ ঈগল স্কয়ারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।বুধবার (৩১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতির সপ্তম গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার এই আয়োজনে বিশ্বের বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সৌজন্যে আয়োজিত উদ্বোধন পরবর্তী মধ্যাহ্ন ভোজেও যোগ দেন। নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি মাল্টিসেক্টরাল প্রতিনিধিদল এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার সরকার কৃষি, যোগাযোগ, মানব সম্পদ রপ্তানি, শিক্ষা, তথ্য, নৌ ও বিমান পথে যোগাযোগ, প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কন্টাক্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার এবং ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
|
Online desk (DTV BANGLA NEWS):ঢাকা: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আসিওয়াজু বোলা আহমেদ তিনুবুর অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। নাইজেরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবুজাস্থ ঈগল স্কয়ারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।বুধবার (৩১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতির সপ্তম গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার এই আয়োজনে বিশ্বের বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সৌজন্যে আয়োজিত উদ্বোধন পরবর্তী মধ্যাহ্ন ভোজেও যোগ দেন। নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি মাল্টিসেক্টরাল প্রতিনিধিদল এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার সরকার কৃষি, যোগাযোগ, মানব সম্পদ রপ্তানি, শিক্ষা, তথ্য, নৌ ও বিমান পথে যোগাযোগ, প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কন্টাক্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার এবং ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
|
|
|
|
Online desk(DTV BANGLA NEWS):নিকট ভবিষ্যতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার সুযোগ নেই: শাহরিয়ার আলমবুধবার (৩১ মে) গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে ঢাকা।নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যা বলবে তাই করবতিনি বলেন, চীন নেতৃত্বাধীন গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) বাংলাদেশ এখনো যোগ দেয়নি। আন্তর্জাতিক কোনো জোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে ঢাকার ওপর কোনো চাপ নেই।উল্লেখ্য, গত ২৪ মে রাতে এক টুইটবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে, সেসব বাংলাদেশির ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকারসমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলেও ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেন।
|
|
|
|
Online desk(DTV BANGLA NEWS):নিকট ভবিষ্যতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার সুযোগ নেই: শাহরিয়ার আলমবুধবার (৩১ মে) গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে ঢাকা।নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যা বলবে তাই করবতিনি বলেন, চীন নেতৃত্বাধীন গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) বাংলাদেশ এখনো যোগ দেয়নি। আন্তর্জাতিক কোনো জোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে ঢাকার ওপর কোনো চাপ নেই।উল্লেখ্য, গত ২৪ মে রাতে এক টুইটবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে, সেসব বাংলাদেশির ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকারসমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলেও ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেন।
|
|
|
|
Online desk(DTV BANGLA NEWS):মেক্সিকোয় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকধারীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) দেশটির উত্তরাঞ্চলের নভো লিওঁ শহরের পাশের একটি মহাসড়কে এ সংঘর্ষ ঘটে। খবর এএফপির।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মেক্সিকোর তামাওলিপাস প্রদেশ ও নভো লিওঁ প্রদেশের সংযোগকারী মহাসড়কে একটি অবস্থানে পুলিশের ওপর তিনটি সাঁজোয়া যানে করে আসা বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। জবাবে পুলিশ গুলি করলে ১০ হামলাকারী নিহত হয়।নভো লিওঁর পাবলিক সেক্রেটারি জেরার্দো পালাসিওস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হামলা এবং হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘তিনটি সাঁজোয়া যানে করে আসা একদল বন্দুকধারী বেসামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও পর গুলি চালায়। জবাবে পুলিশের পাল্টা গুলিতে ১০ হামলাকারী নিহত এবং অন্য ৪ জন আহত হয়।’ মেক্সিকোর তামাওলিপাস প্রদেশ ও নভো লিওঁ প্রদেশের সংযোগকারী মহাসড়কটিতে এমন বন্দুক হামলার ঘটনা বিরল নয়। এ মহাসড়কটিতে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সংঘবদ্ধ অপরাধের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ছিনতাই এবং ডাকাতি প্রায় নিয়মিতই ঘটে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মেক্সিকো সরকার দেশটিতে বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করার পর থেকে মেক্সিকোয় বিগত কয়েক বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ খুন হয়েছেন এবং প্রায় ১ লাখ মানুষ গুম হয়ে গেছেন। এসব খুন এবং গুমের জন্য সংগঠিত অপরাধী চক্রগুলোকেই দায়ী করছে সরকার।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
গত ২১ মে রোববার ঢাকার স্কাই ভিউ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান এম্বাসেডর লি জ্যাং কেউনকে বিশেষ সংবর্ধনা ও এ উপক্ষ্যে এক নৈশভোজের আয়োজন করে নোভো কার্গো সার্ভিসেস । বিশেষ এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোভো কার্গো সার্ভিসেস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সংবর্ধনা ও উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সেক্রেটারী লোকমান হোসেন মিয়া, কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ । এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, কূটনীতিক, সরকারের নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক সহ বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, কেবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন খান, বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, টাইগার গলফ ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডন্ট মন্জুরুল কাদের এবং প্রধান অতিথি হিসেবে কোরিয়ান এম্বাসাডর লী জ্যাং কেউন বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ বক্তব্যে সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু। অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোরিয়াকে অনুসরণ করার অনেক বিষয় আছে। তিনি বলেন, বর্তমান এম্বাসেডর লী জ্যাং কেউন থাকাকালীন সময় বাংলাদেশের সাথে কোরিয়ার অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বেশি জোরদার হয়েছে। এজন্য তিনি তাঁকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বাংলাদেশের সাথে কোরিয়ার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বক্তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দীর্ঘসময় কোরিয়ার বিনিয়োগ এবং ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধান অতিথি লী জ্যাং কেউন উন্নয়নের ধারায় কোরিয়ার বিনিয়োগ এবং আন্তরিক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন । আলোচনা শেষে সবাই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
|
|
|
|
Staff reporter:
Bangladesh Optometric Society (BOS) celebrated World Optometry Day with the theme of better sight better life. This special workshop held with leaders and members of the organization on March 26 at a restaurant in Dhaka. The organization first took out a rally on the occasion of World Optometry Day. A special discussion was held on the current status of the profession in Bangladesh and the global situation. Special guests participated in the discussion on the importance of optometrists in Bangladesh and what to do. This special workshop concludes with Ramadan Iftar and Dinner.
In this workshop, Vice President Optom Bulbul Akhtar in his speech paid sincere respect to the Independence Day and called upon all the organizations to create proper unity. Professor Hasan Shaheed Suhrawardy, special guest and advisor of the organization, said in his speech, All the best for Optoms. He spoke about the importance of introducing degree courses in this sector, syllabus, course renewal and above all permission from UGC. He expressed optimism and said that it is possible to do something good in this profession in Bangladesh. He praised the optometrists for being systematic, registered and conscientious.
Advisor of the Society professor Dr. Mizanur Rahman warmly welcomed the theme of the slogan better sight better life while paying tribute to the martyrs on Independence and National Day. He pointed out that optomes have a huge role to play in preserving sight worldwide. Optometrists abroad prescribe for vision problems, he said. So there is nothing to underestimate this sector! They do not play a role less than eye doctors in any way! He mentioned that the profession is now up to PhD and the profession continues to play a very important role in the world. He thinks it is important to preserve its quality in this country.
Senior Vice President of the organization Optom Kamal Uddin, Adviser Optom Salauddin Suman, General Secretary Optom Borhan Uddin spoke and they all expressed the hope of forgetting the differences, moving forward legally with the aim of serving everywhere on the same platform. Besides, they expressed their desire to work together to preserve the quality of this sector.
Optom Md. Nasir Uddin Jomaddar, Optom Khorshed Alam Bhuiyan, Optom Md. Alamgir Hossain, Optom Md. Jahangir Hossain, Optom Abu syem bipu, Optom Md. Farid Uddin, Optom SK. Razaul Karim, Optom AJMM Alamgir, Optom Md. Kamal Hossain played a special role in the reception and entertainment.
2.5 New Vision representative Mr. Siddiqur Rahman thanked everyone for giving them the opportunity to be involved in this sector and expressed his hope to participate in such events in the future. Finally, the president of the organization Optom Md. Didarul Islam gave a virtual speech.
The program was conducted by Optom Md. Barkat Ali.
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার:
টাইগার গলফ ক্লাব, ঢাকা বাংলাদেশ। সংক্ষেপে টিজিসি যা একটি অলাভজনক সংগঠন। এরা মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই খেলাধূলার পাশাপাশি বিশ্ব-সামাজিক ও মানবিক সহায়তা মূলক কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের টাইগার গলফ ক্লাব। তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানবিক সহায়তা ও পূনর্বাসনের জন্য তাবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ দিয়েছে। সম্প্রতি এসব প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুরস্কের বারিধারায় তুর্কি সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে।
এসব সহায়তা সামগ্রী তুরস্কে প্রদানকালে সেসময় উপস্থিত ছিলেন টাইগার গলফ ক্লাবের ট্রেজারার সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য জনাব আশরাফ, তুরস্ক সহযোগীতা ও সমন্বয়ের পরিচালক সেভকি মারথি বারিশ, ইন্দোনেশিয়ার এম্বেসেডর ও টাইগার গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিবু হারতান্ত সুবোলা, মিসেস ইয়াসমিন, টাইগার গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিগ্রেঃ জেনারেল (অবঃ) মঞ্জুর কাদের, টার্কি এম্বেসীর জনাব আজগর, সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) হাসিবুর রহমান প্রমূখ। এছাড়া টিজিসির নির্বাহী সদস্য হাফিজুর রহমান সহায়তা সমাগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রেও যুক্ত ছিলেন।
টাইগার গলফ ক্লাব ২০০৯ সালে তাদের যাত্রা শুরু করে। এই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশী বিভিন্ন কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তা ও উৎসাহীরা। টাইগার গলফ ক্লাব শুধু খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকে। তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে তুর্কি দূতাবাস এবং টিকাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও টাইগার গলফ ক্লাব স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ দিয়ে থাকে।
|
|
|
|
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কেন্দ্রে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ৯ জন গুরুতর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভবনটি থেকে দুই শতাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছে, ভবনটির পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনার সূত্রপাত। মূল কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। এ নিয়ে একটি ফৌজদারি মামলাও হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, মস্কোর তাগানস্কি জেলায় ৪১ বছর বয়সী ওই ভবনটির নিচতলায় ‘এমকেএম’ নামে একটি হোটেলের পাশাপাশি ওপরের তলায় আগের হোটেল থেকে রূপান্তরিত অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
সূত্র: সময় নিউজ
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক:
ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাক্রমশালী শক্তিকে পরাভূত করার জন্য ভিয়েতনামের জনগণ মহান নেতা হো চি মিনের আহ্বানে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করেছিল এবং তা সফল করে তোলা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ততক্ষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজধানী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করেছে। তিনি ঘোষণা করেনÑ পাকিস্তান এখন থেকে শত্রুরাষ্ট্র, তাদের পরাভূত করার জন্য যার যা আছে তাই নিয়ে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। এটাতো গেরিলা যুদ্ধেরই কৌশল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানের দুই যুগের অস্তিত্বকালের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। তবে এ বন্দীজীবন ছিল এ ভূখণ্ডের ঢাকাসহ কয়েকটি কারাগাওে সীমিত। কিন্তু ২৫ মার্চের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তান ভূখণ্ডে, যা পরিণত হয়েছিল শত্রুরাষ্ট্রে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রণাঙ্গনে পরাভূত করার জন্য গেরিলা কৌশল ও সম্মুখ যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক অভিযানও সফলভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ছিল পথপ্রদর্শক এবং বড় প্রেরণা।
এ দেশটি ১৯৫৪ সালে উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সুদক্ষ সেনাবাহিনীকে পরাভূত করে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিপুল সামরিক শক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে ভিয়েতনামের একটি অংশে তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে। এর বিরুদ্ধে শুরু হয় হো চি মিনের নেতৃত্বে নতুন করে সশস্ত্রসংগ্রাম। গেরিলা যুদ্ধ ছিল তারই অংশ। বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এর দুই মাস যেতে না যেতেই ১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। তবে এ দেশটির বড় অংশ তখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত তাবেদার সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এদের হটাতে চলছে গেরিলা যুদ্ধ। লাখ লাখ মার্কিন সেনাসদস্য তাবেদার সরকারের হয়ে লড়ছে গেরিলাদের বিরুদ্ধে। চলছে নির্বিচারে বোমা হামলা। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দিত-ধিকৃত হতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বাংলাদেশও অনেক রাজনৈতিক-সামাজিক সমাবেশে ভিয়েতনামের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত হয়। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমিতে মার্কিন তথ্য কেন্দ্রের একটি প্যাভিলিয়ন বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ভিয়েতনামের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্যানার টানিয়ে দেয়।
ভিয়েতনাম কখনও কোনো দেশের কাছে মাথা নত করেনি। বাংলাদেশকেও কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবে না। ভিয়েতনামের জনগণের মাথাপিছু আয় ১৯৭৪ সালে ছিল ৬৫ ডলার, এখন তা তিন হাজার ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশও গত পাঁচ দশকে একই ধরনের অর্থনৈতিক সাফল্য প্রদর্শন করতে পেরেছে। আমাদের মাথাপিছু আয়ও ভিয়েতনামের সমপর্যায়ে। বহু বছর বাস্কেট কেস হিসেবে অভিহিত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সারি থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। উন্নত বিশ্বের সারিতে স্থান করে নেওয়াও আর স্বপ্ন নয়। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বিশ্বব্যাপী ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের অর্জনকে অভিহিত করা হচ্ছে মিরাকল হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভিয়েতনাম মরণপণ লড়াই করেছে। কিন্তু নিজের অর্থনীতি দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগও তারা গ্রহণ করছে। জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখেই ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি’ ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশও অনুসরণ করে চলেছে। প্রতিবেশী ভারত, পাশের বৃহৎ শক্তি চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-রাশিয়া ও ইউরোপের ধনী দেশসমূহ, সবার সঙ্গে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলার কৌশল সুফল দিচ্ছে। ভিয়েতনামও একই কৌশল অনুসরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া সকল দেশের সঙ্গেই অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতি ও কৌশল অনুসরণ করা হয় । বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে। এ বছর দুই দেশের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত হয়েছে। রফতানি বাণিজ্যকৌশল এবং কৃষিতে দুটি দেশই সফল। পরস্পরের কাছ থেকে শিক্ষা নিতেও আগ্রহ প্রবল। ভিয়েতনামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাংলাদেশে এসেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফর করেছেন ভিয়েতনাম।
ভিয়েতনাম প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দেশ। কিন্তু মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে রফতানি বাড়াতে তারা ‘হালাল পণ্য’ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভিয়েতনামে এ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে প্যানেল বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছিল। সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বে হালাল খাদ্যের বাজার দাঁড়াবে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। আর ২০৫০ সালে এ বাজারের পরিমাণ হবে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনাম এ বাজারের হিস্যা বাড়াতে চায়। ভারতে এখন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। কিন্তু সেখানেও মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরার জন্য হালাল খাদ্য-ওষুধ উৎপাদনের আয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ তাদেরকাছ থেকে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতে পারে। ভিয়েতনাম পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট আসিয়ানের সদস্য। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশ নিয়ে গঠিত এ জোটের সদস্যদের মধ্যে রাজনৈতিক কাঠানো, ধর্মবিশ্বাস ও অর্থনৈতিক নীতিতেবিস্তর পার্থক্য। কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারেপ্রতিটি দেশই উদ্যোগী এবং এতে সকলেই লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ এ থেকেও শিক্ষা নিতে পারে।
এখন দুটি দেশই ভিন্ন ধরনের লড়াইয়েÑ উন্নত বিশ্বের সারিতে পৌঁছে যাওয়া। তবে মানবিকতাও জেগে আছে। ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাস কয়েকবার আয়োজন করেছে রক্তদান কর্মসূচির। করোনার সময় দূতাবাস থেকে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। আগামীতে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি মানবিকতার ধারাও বেগবান হবে, এতে সন্দেহ নেই।
কূটনৈতিকসম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী এ বছর। তবে সম্পর্ক আরও অনেক পুরানো। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম বিপুল আত্মত্যাগে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। উভয় দেশের অনেক স্থান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত। কোথাও গণকবর, কোথাও শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে সাফল্যগাথার স্মৃতি। দুই দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিভরা এ স্থানসমূহ নতুন প্রজন্মের জন্য নিয়মিত পরিদর্শনের আয়োজন হতেই পারে।
|
|
|
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪,৩০০ ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা মঙ্গলবার জীবিতদের উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ভাগ। এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বিভিন্ন শহরে ৫ হাজার ৬শ’র বেশি ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু বহুতল আবাসিক ভবন রয়েছে। ভূমিকম্পের সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা এএফএডি মঙ্গলবার বলেছে, কেবলমাত্র তুরস্কেই ২,৯২১ জন মারা গেছেন। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৪৪৪ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট প্রাণহানি ৪,৩৬৫ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের হিসেবে এ সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে। এদিকে তুরস্কে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি এবং সিরিয়ায় ৩,৪১১ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বরফ বৃষ্টি ও শুন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রার কারণে সহায়তা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া কর্মকর্তারা বলছেন, বড়ো বড়ো বিমান বন্দর গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে সহায়তার কাজ জটিল হয়ে পড়েছে। আরো রয়েছে তুষার ঝড় ও বরফ যা রাস্তায় চলাচলে বাধাগ্রস্ত করছে। এদিকে নগরীর আতঙ্কিত বাসিন্দারা হিমশীতল রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে। অনেকে ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছে। এরকমই একজন মোস্তফা কোয়েনকু (৫৫)। তিনি তার স্ত্রী ও পাঁচসন্তান নিয়ে গাড়িতে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘরে যেতে পারছি না। সকলেই ভয়ে আছে। এদিকে বছরের পর বছর গৃহ যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহতদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খবরে বলা হয়েছে, আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টারটাসে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।
সূএ: বাসস
|
|
|
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে শনিবার দক্ষিণ ক্যারোলাইনার উপকূলে চীনা গোয়েন্দা বেলুনটি ধ্বংস করেছে। পেন্টাগণ এ খবর জানিয়েছে। খবর এএফপি’র। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, চীনা এ বেলুন তাদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল। যুক্তরাষ্ট্র একে চীনের ‘অগ্রহণযোগ্য লংঘন’ বলে বর্ণনা করেছে। চীনের বেলুনটি কয়েক দিন আগে আকাশে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নজরে আসে। এরপর থেকেই সেটি ধ্বংস করতে চাপে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশেষে এফ-২২ যুদ্ধবিমান দিয়ে সেটি ধ্বংস করা হলো। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার ৪৭ ফুট গভীরে পড়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ অভিযানকে ‘ইচ্ছাকৃত ও আইনানুগ’ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর চীনের ‘অগ্রহণযোগ্য লংঘন’ই এ পদক্ষেপের কারন। সফলভাবে বেলুন ধ্বংসের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিমানের পাইলটদের অভিনন্দন জানান। মেরিল্যান্ডে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা সফলভাবে এটি ধ্বংস করতে পেরেছে। যারা এ কাজটি করেছে আমি তাদের প্রশংসা করতে চাই। বেলুনটি ধ্বংসের অভিযান চালানোর সময় উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে উপকূলের কাছে তিনটি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশে ছোট একটি বিস্ফোরণের পর একটি বেলুন নিচের দিকে পড়ছে। গত ২৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা দেয়া এই বেলুনকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এ ঘটনার জেরে চীন সফর বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এদিকে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূলত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বেলুনটি আকাশে ওড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। দেশটির আকাশসীমায় অনাকাক্সিক্ষতভাবে বেলুনটি উড়ে যাওয়ার এ ঘটনার জন্য বেইজিং অনুতপ্ত। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপসহ পাঁচ মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে চীনা বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে। বিস্তারিত উল্লেখ না করে পেন্টাগণ শুক্রবার বলেছে, সন্দেহজনক আরো একটি চীনা গোয়েন্দা বেলুন ল্যাটিন আমেরিকায় দেখা গেছে।
সূএ: বাসস
|
|
|
|
কূটনৈতিক প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে চলতি বছর প্রথম উচ্চপর্যায়ের কোনো মার্কিন কর্মকর্তার এ সফরে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ঢাকায় দেশটির কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর সফরের সময় র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের মতো বিষয়গুলো তোলা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ সফরের সময় সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়গুলো হবে ১৫ জানুয়ারি।
গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সমন্বয় সভায় ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভিন্ন সুরে কথা বলার প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পায়। সরকারের তিন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিও আসে। বিশেষ করে সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানস্থলে একদল লোক হঠাৎ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরে ধরাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
সাত লাখ ১০ হাজার ৪৬৮ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ এর মে পর্যন্ত এই পুনর্বাসন হয়। এর মধ্যে ব্যারাক হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৮টি পরিবার, নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে এক লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩ পরিবার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য সাত হাজার ৯২টি ঘর, আম্ফান ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার একশ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নওগাঁ-২ আসনর সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
|
|
|
|
ঢাকা: জাতীয়-আন্তর্জাতিক অনেক বাধা, ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। আগামী ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পরে এই মেগা প্রকল্পটি। তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দৃঢ়তার ফলে দেশে দীর্ঘতম এই সেতু আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরুতেই যেমন দুর্নীতির অভিযোগ উঠে তেমনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন ঠেকাতে দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠে। সব ষড়যন্ত্র ও বাধা মোকাবিলা করে আর এক মাস পরে উদ্বোধন হতে যাওয়া এই সেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর অর্ধশতাব্দিরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপনা। যা শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসিকতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক অর্থ দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। যদিও পরবর্তীতে কানাডার আদালত বিশ্বব্যাংকের এই দুর্নীতির অভিযোগের কোনো প্রমাণ না পেয়ে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। এরপর বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। এই সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। দেশের প্রধান নদী পদ্মার ওপর নির্মিত এই সেতুটির মোট দৈর্ঘ প্রায় ৯ কিলোমিটার। এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টির জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। দুইতলা বিশিষ্ট এই সেতুর ওপরের অংশে সড়ক পরিবহন এবং নিচের অংশে রেল চলাচল করবে। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রীরা জানান, শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও অদম্য সাহসিকতার ফলে যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তেমনি নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার মাধ্যমে বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে এসে কোনো কাজ করা সম্ভব সেটাও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে। যারা মনে করেন বিদেশিদের ছাড়া চলে না নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে শেখ হাসিনা তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ওই নেতা ও মন্ত্রীরা আরও জানান, শেখ হাসিনা শুধু সাহসিকতার সঙ্গে এত বড় সাফল্য অর্জনই করেননি তার নামে এই সেতুর নামকরণের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে অনেক বড় উদারতাও দেখিয়েছেন। বিভিন্ন দিক থেকে দাবি উঠেছিল এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করার। আর যিনি এত বড় ঝুঁকি নিয়ে সে সেতু নির্মাণ করলেন সেটি তার নামে নামকরণ অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে তার নাম প্রস্তাব করে যে সামারি নিয়ে গিয়েছিলেন এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সে সামারিতে প্রধানমন্ত্রী সই করেননি।ওবায়দুল কাদের পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছেন পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর নামেই হবে। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অদম্য সাহসিকতা, জনগণের কাছে করা প্রতিজ্ঞা, নিষ্কলুষতা আর নিজস্ব অর্থায়নে শেখ হাসিনার হাত দিয়ে এই পদ্মা সেতু নির্মিত হলো। আর এর জন্য দেশের জনগণকে বাড়তি কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। যারা দেশের স্বার্থের চেয়ে বিদেশিদের স্বার্থ বড় করে দেখে এবং বিদেশিদের ছাড়া চলে না বলে মনে করে তাদেরকে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিলেন, প্রমাণ করলেন জনগণের সমর্থন থাকলে কোনো বাধাই বাধা নয়। তিনি চেয়েছেন, পদ্মা সেতু করেছেন এই হচ্ছেন শেখ হাসিনা। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তিনি সেতুটি নির্মাণ করলেন সেটি স্বাভাবিকভাবেই তার নামে নামকরণ হতে পারতো। কিন্তু তিনি কাজ করেন দেশের জন্য মানুষের জন্য, এ কারণে শেখ হাসিনা এই লোভটাকে প্রশ্রয় দেননি। এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০ বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু দেশের প্রত্যেকটি মানুষের অনুভূতির নাম আর তা বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি দেশের মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারেন তিনিই রাষ্ট্রনায়ক। আগামী ২৫ জন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, এটা শুধু উদ্বোধন না এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে দেখানো হবে শেখ হাসিনা যা বলেন সেটা করেন। সেতুর কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কিছু দুষ্কৃতিকারী, ড. ইউনুস, খালেদা জিয়া এই সেতু যাতে না হয় তার ষড়যন্ত্রের করেছিলেন। সারা দুনিয়া জেনেছে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বাধাকে শেখ হাসিনা জয় করতে পেরেছেন। যেহেতু সারা দুনিয়া পদ্মা সেতু নামে এই ষড়যন্ত্রের কথা জেনেছে তাই হয় তো তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সেতুর নাম পদ্মা সেতুই থাকবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি ছিল অনেকটাই ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। বিষয়টি গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সংবাদ পরিবেশনের ধরনও ব্যাপক ধাঁধার সৃষ্টি করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সংবাদ প্রচারের সময় বিজয়ী সুরের পরিবর্তে হলিউডের চলচ্চিত্রের অনুকরণ করা হয়, যেমনটা আগে কোরীয়রা দেখেননি। লেদার জ্যাকেট পরিহিত কিম জং-উন, চোখে কালো চশমা; ভিডিও ইফেক্ট আর ব্যাকগ্রাউন্ডে নাটকীয় সংগীত—সবকিছুই ছিল এতে। উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল টেলিভিশন সাধারণত কিম পরিবারের রিপিটিভ ডায়েট (প্রতিদিন একই খাবার গ্রহণ) প্রপাগান্ডা, সামরিক বাহিনীর ব্যান্ড কনসার্ট, দেশপ্রেম নিয়ে চলচ্চিত্র আর শ্রমের গুণগান প্রচার করে থাকে। তাই এর বাইরে কিছু প্রচার করলেই তা চোখে পড়ে। এ জন্য হোয়াসং-১৭ উৎক্ষেপণ নিয়ে প্রচারিত সংবাদ ছিল অন্য রকম। সংবাদ বুলেটিনের মাধ্যমেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি জাতিকে জানানো হয়। তবে উপস্থাপনের ধরনটি ছিল অন্য রকম। দর্শকেরা ১৫ মিনিট ধরে ভিডিও ইফেক্ট, পরিকল্পিত মঞ্চায়ন এবং কিম জং-উনের চশমা সরোনার দৃশ্য দেখেছেন। চশমা সরিয়ে যেন কিম বলছিলেন, ‘চালিয়ে যাও’। আলোড়িত সুরমূর্ছনা ও বিজয়ী সংগীতের মাঝে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একাধিক দৃশ্য। সংবাদ উপস্থাপনায় ছিলেন অভিজ্ঞ সংবাদ পাঠিকা রি চুন-হি। পশ্চিমা বিশ্বে উত্তর কোরিয়ার ‘পিং লেডি’ হিসেবে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিক এমন উপস্থাপনাকে অ্যাকশন ড্রামা ‘টপ গান’, কল্পবিজ্ঞান সিরিজ ‘থান্ডারবার্ডস’এবং বলিউডের চলচ্চিত্রের সঙ্গে তুলনা করেন। পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে মিসাইল লাঞ্চারের সামনে থেকে কিম ও তাঁর জেনারেলরা যেভাবে হেঁটে আসছিলেন, ওই দৃশ্যকে কেউ কেউ ১৯৮৩ সালের ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘দ্য রাইট স্টাফ’-এর সঙ্গে তুলনা করেন। উত্তর কোরিয়ার টিভি দর্শকদের জন্য এটা একেবারেই নতুকীভাবে দেখছেন উত্তর কোন। বাইরে থেকে যদি লুকিয়ে এমন কিছু দেখানো না হয়, তবে এতে কঠিন শাস্তির মুখে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। কার্যত উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশনের পর্দায় এমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, এখানে ভারসাম্যমূলক কাজ হয়েছে বলে দেশটির শক্তিশালী প্রপাগান্ডা অ্যান্ড অ্যাজিটেশন ডিপার্টমেন্ট জানত। তারা এমন একটি ভিডিও তৈরি করেছে, যা নতুন এবং দেশীয় দর্শকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এভাবে জাতীয় গৌরব এবং কিমের ভাবমূর্তিতে শাণ দেওয়া যাবে। সম্প্রতি ওজন কমানোয় এতে কিমের আরও শক্তিশালী নতুন সার্বিক ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে। সর্বশেষ যখন এ ধরনের কিছু করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, সেটা থেকে এবারের দৃশ্য ধারণ অনেক আলাদা। ২০১৯ সালে পবিত্র মাউন্ট পায়েকতুতে সর্বোচ্চ নেতাকে উঠতে দেখা যায়। ওই সময় ঘোড়ার পিঠে চড়া স্থূলকায় কিমকে দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছিল। নতুন ভিডিও দেখার পর উত্তর কোরীয়দের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা বলা মুশকিল। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নির্দেশ দেওয়ার আগে ঘড়ি দেখছেন কিম জং-উন তবে সুর ও রঙের এমন আকস্মিক পরিবর্তন বুঝতে না পেরে অনেকেই দ্রুত চোখের পলক ফেলবেন। তাঁরা এমন ভিডিও ইফেক্ট দেখে অভ্যস্থ নন। আগে একটি হলিউড চলচ্চিত্র দেখেছেন, এমন ক্ষুদ্র অংশ হয়তো দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন। নিজেদের প্রশ্ন করতে পারেন—এটা কি ভুল ছিল, নাকি মাত্র একবারের জন্য অথবা বাস্তবে সম্ভব নয়, এমন পরিবর্তনের ইঙ্গিত? বরাবরের মতো হয়তো শিগগিরই এর উত্তর মিলবে না। উত্তর কোরিয়ার প্রপাগান্ডার নেপথ্যে থাকা লোকজন এটাও জানতেন, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ভিডিও দেশের বাইরেও দেখা হবে এবং এ নিয়ে আলোচনা হবে। তাই ভিডিওতে এ ধরনের ইফেক্ট ব্যবহার ও হলিউড চলচ্চিত্রের অনুকরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করা হয়েছে। তবে যাদের উদ্দেশে এটা করা হয়েছে, তাদের কাছে এটা নতুন কিছু নয়, হাস্যরসের বিষয়ও। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। উত্তর কোরিয়ার চালানো আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটা ছিল সর্বোচ্চ বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। উত্তর কোরিয়ার চালানো আন্তমহাদেশীয় কী বার্তা রয়েছে? সর্বোপরি এটা ছিল পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসেরই একটি প্রকাশ। রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের পিয়ংইয়ং সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। উৎক্ষেপণে যেকোনো ধরনের ব্যর্থতা হতো বিমানবন্দর এবং আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য বিপর্যয়কর।
|
|
|
|
রাজধানী ঢাকার রাজপথসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ভবন আজ ২৬ মার্চ শোভিত হয়েছে লাল-সবুজ পতাকায়। শুধু রাজধানীই নয়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সারা দেশই আজ সুসজ্জিত হয়েছে অগণিত পতাকায়। বরাবর তা–ই হয়। কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তিগত ভবন, যানবাহন এমনকি উৎসবমুখর মানুষের হাতেও শোভা পায় নানা আকারের জাতীয় পতাকা। এই পতাকা অর্জিত হয়েছে জাতির অগণিত বীর সন্তানের রক্তের বিনিময়ে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বিজয়ের মধ্য দিয়ে। সেই রক্তের প্রতীক হয়ে আছে পতাকার সবুজ জমিনের লাল সূর্য। আর সবুজ হলো এই বাংলার নিসর্গ ও তারুণ্যের প্রতীক। কিন্তু একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, যে পতাকাগুলো উড়ছে, তার একটির সঙ্গে অরেকটির রঙের বেশ পার্থক্য রয়েছে। তবে সম্প্রতি এই তারতম্য ঘোচাতে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞাপনআমাদের পতাকার রং লাল-সবুজ। কিন্তু প্রতিটি রঙেরই মাত্রাগত বেশ পার্থক্য রয়েছে। একই রং দেখতে কখনো গাঢ়, কখনো হালকা, আবার অনেক ক্ষেত্রে ফিকে। ফলে পাশাপাশি রাখলে প্রতিটি আলাদা দেখায়। যেমন সবুজ রঙের ক্ষেত্রেই বলা যায়, গাঢ় বা কালচে সবুজ, আবার কলাপাতা সবুজ, টিয়ে সবুজ, ফিকে সবুজ—এমন। লাল রঙের ক্ষেত্রেও এমন ভিন্নতা আছে। এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সংবিধিবদ্ধ নির্দেশিকা অনুসারেই জাতীয় পতাকা তৈরি করা উচিত। এর ব্যত্যয় করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি। এখন সঠিক মাপ ও রঙে জাতীয় পতাকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। কীভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে? রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় পতাকা বিক্রেতা আইয়ুব চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলো। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামে। ১৫ বছর ধরে তিনি জাতীয় পতাকা, নানা ধরনের ব্যাজ, পদক—এসবের ব্যবসা করেন। তিনি জানালেন, জাতীয় পতাকা তৈরির জন্য তাঁরা প্রধানত সুতি ও পলিয়েস্টার—এই দুই ধরনের কাপড় ব্যবহার করেন। রং তো সবাই জানে—লাল ও সবুজ। ইসলামপুরের পাইকারি বাজার থেকে থান কাপড় কিনে দরজির কাছ থেকে পতাকা তৈরি করান। একেক থানে রঙের কিছু পার্থক্য থাকে। আবার সুতি কাপড়ের সবুজ একটু গাঢ়, অর্থাৎ কালচে সবুজ হয়। তবে মোটের ওপর পতাকার রং লাল-সবুজই থাকে। সবাই এভাবেই তৈরি করে। রাজধানী তো বটেই, সারা দেশে গ্রামগঞ্জে দরজির দোকানে যেভাবে জাতীয় পতাকা তৈরি হয়, তাতে রঙে হেরফের হচ্ছে—এটা বাস্তবতা বলে মন্তব্য করলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও রং নির্দিষ্ট করা আছে। সেভাবেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এ বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে কোনো জনসচেতনতাই সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পতাকা তৈরির জন্য দরজিদের নিয়ে একটি কর্মশালা করা যেতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্যরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয় পতাকার মাপ ও রঙের সুনির্দিষ্ট বিবরণ রয়েছে। সেটিই অনুসরণ করা প্রয়োজন। এতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০: ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হবে।’ এই পরিমাপের পাশাপাশি রঙের মাত্রা কেমন হবে, তা–ও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। ‘পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রিন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস।’ জাতীয় পতাকার মাপটি এখন প্রায় সবাই জানেন। লম্বা ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট বা লম্বা ১০ ইঞ্চি হলে প্রস্থ ৬ ইঞ্চি। লাল বৃত্ত পাঁচ ভাগের এক ভাগ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক মফিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পতাকার মাপ নিয়ে এখন তেমন তারতম্য নেই। জাতীয় পতাকা কেমন হবে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইতে তা সচিত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। তবে রঙের ক্ষেত্রে অনেক সময় হেরফের হয়। এটা এড়াতে কেমন কাপড়, কোন মাত্রার রং ব্যবহার করতে হবে, তা সহজ করে প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তবে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে তা নয়, বরং এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। নাগরিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় পতাকার সঠিক রঙের প্রয়োগ নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন প্রথম আলোকে বললেন, জাতীয় পতাকায় রঙের সমন্বয় করা জরুরি। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে রঙের মাত্রার পরিবর্তন হয়। যেমন কাগজে ছাপা লাল রং দেখতে ম্যাজেন্টা মনে হয়। এতে হলুদের পরিমাণ কম থাকে। রক্তিম লালের জন্য এতে হলুদের প্রাধান্য দিতে হয়। আবার কাপড়ের ভিন্নতায় রঙের ভিন্নতা আসে। সে কারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে রঙের ব্যবহার পরীক্ষা করতে হবে। বিধিবদ্ধভাবে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেই রংটি কোন কাপড়ে সঠিক হচ্ছে, তা বাছাই করে পতাকার জন্য সেই কাপড় নির্ধারণ করতে হবে। নিসার হোসেন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোতে এই সঠিক রঙের পতাকার প্রচলন করা যেতে পারে। পরে ধাপে ধাপে সব ক্ষেত্রে সঠিক রং প্রয়োগের বিষয়ে কাজ করতে হবে। এ নিয়ে চারুকলা অনুষদ রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টসের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি জানালেন, এ বিষয়ে একটি গণসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানো হবে। প্রথম আলো এতে সহযোগী ভূমিকা রাখবে।
|
|
|
|
|
|
|