বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে পৃথক চার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে পৃথক চার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়েছেন কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির হন তারা। চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ৩০ অক্টোবর তাদের আদালতে এসে তাদের সাক্ষ্য দিতে এ সমন জারি করেন। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
এরপর খালেদা জিয়াসহ অপর আসামির পক্ষে বাদীকে জেরা করেন তাদের আইনজীবীরা। জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে অনুমতি দেন আদালত। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যরো অব ইনভেস্টিগেশনের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইসরি স্পেশাল এজেন্ট ডেবরা লাপরিবট্ট গ্রিফিথ, কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের জেল-জরিমানার দণ্ড বাড়াতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দায়েরের জন্য আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট ছুটি থাকার কারণে আবেদন প্রস্তুত হলেও সেটি রোববার (৮ অক্টোবর) দাখিল করা হবে।
যে আইনে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সাজা কত বছরের বিধান রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনে সর্বোচ্চ সাজা ২০ বছর এবং সর্বনিম্ন সাত বছর রয়েছে। সে হিসেবে আমরা আপিল আবেদন করেছি এখন আদালতের বিষয় সেখানে কত দণ্ড দেবেন।
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন, তাদের জেল-জরিমানার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভুঁইয়া।
এক দশক আগের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারার মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসিরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের ১৪ সেপ্টেম্বর দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়েরের বিষয়ে আদিলুর ও নাসিরের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আপিলে জামিনের আবেদনও রয়েছে। আপিলে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বাতিল ও আপিলকারীদের খালাস চাওয়া হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদিলুর ও নাসিরের জেল ও জরিমানা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিয়ম অনুসারে আলাদা করে তাদের জামিনের আবেদনও করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিচারিক আদালত রায়ে আদিলুর রহমান খানকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশনের ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ এখনো আদিলুরকে ডিভিশন দেয়নি।’
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য-বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এই মামলায় আদিলুর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ আগস্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি কম্পিউটার ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সে বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন। মামলায় আইসিটি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গ্রেফতার ও রিমান্ড সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও প্রচারণাকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার এ রিট করেন। শুনানি করেন সগীর হোসেন লিয়ন।
আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার মো. আকমল আলী তালুকদারসহ চারজনের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ সোমবার এ দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেয়।
মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৭ মার্চ যে কোন দিন রায় ঘোষণার (সিএভি) জন্য রেখে আদেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এটি হবে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৩ তম রায়।
এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির সময় আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদাকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়।
আকমল আলী তালুকদারকে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এই চারজনই মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বাসিন্দা।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও শেখ মুশফেক কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আবুল হোসেন।
গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মুদ্রা পাচার ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৯ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এ অর্থের একটি বড় অংশ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে ফিলিপাইনে চলে যায়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ও বাজেট শাখার যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ার সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ডেসটিনির পরিচালক মেজবাউদ্দিন স্বপনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক শহীদুল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদয়ে আর তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে। মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আসামি পলাতক ছিলেন। তাই সোমবার আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাসিম আহমেদ এমাজউদ্দিনের হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ আগস্ট ধার্য করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই এসএম কামরুল হাসান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
গত বছরের ৬ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডার পোস্ট অফিসের গলির ৩৭৫ নম্বর দাগের ৪ নম্বর নিজ বাসার সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত হন নাসিম। তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
৫ নভেম্বর বাড্ডায় একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বাজি ধরাকে কেন্দ্র করে রমজান আলী, আসিফ শিকদার, রশিদ, শহীদুল ও রফিক নামে স্থানীয়দের সঙ্গে নাসিমের বাগ বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসিফকে চড় মারেন নাসিম। এর প্রতিশোধ নিতে গত ৬ নভেম্বর সকালে নাসিমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আসিফ, রমজান, রশিদসহ অন্যরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর নাসিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১১) হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় সাইফুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও মহিউদ্দিন হাসনাত পলাতক রয়েছেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান মৃত্যুদণ্ডের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।
২০১২ সালের ১০ আগস্ট আপন বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও তার ভাড়াটে রিফাতকে গলাকেটে হত্যা করে। রিফাত ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত। এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকেল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মানছেন না নিম্ন আদালতের বিচারকরা। বারবার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থল ত্যাগ করছেন বিচারকরা। শুধু কর্মস্থল ত্যাগই নয়, কার্যদিবসেও বিলম্বে যোগ দিচ্ছেন কর্মস্থলে যার প্রভাব পড়ছে বিচার প্রশাসনে। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি। এসব বিষয় উল্লেখ করে পুনরায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ/জেলা জজ সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে কর্মস্থল ত্যাগ করার আগে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ ও বিলম্বে কাজে যোগ না দেওয়া সংক্রান্ত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণের শামিল হিসেবে গণ্য হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জ্যেষ্ঠ জেলা জজ ড. মো. জাকির হোসেন গতকাল রাতে ইত্তেফাককে বলেন, ‘সার্কুলারে উল্লিখিত বিচারকরা ই-মেইলের মাধ্যমে কর্মস্থল ত্যাগের জন্য অনুমতি চাইবেন। অনুমতি পেলেই তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন। বিচার প্রশাসনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশনা জারি করেছেন। এটা উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই।’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে গতকাল বৃহস্পতিবার জারিকৃত ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালতসূমহে বিচারাধীন মামলার আধিক্য হ্রাস, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার তথা দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত সকল পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ অন্যান্য কার্যদিবসে কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছিলো। এমনকি বিচারকদেরকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ না করতেও বলা হয়েছিলো। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের গোচরীভূত হয়েছে যে, বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ/জেলা জজ সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজসহ অধস্তন আদালতের অনেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বর্ণিত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এমনকি সপ্তাহের শেষ দিনে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কর্মস্থল ত্যাগ করছেন এবং পরবর্তী কার্যদিবসে দেরীতে কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। এছাড়া অনেকে সপ্তাহের অন্যান্য কার্যদিবসেও কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে একাধিকবার কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এর ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণ ন্যায়বিচার প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বিচার প্রশাসনে কাজের ধারাবাহিকতা ব্যত্যয় সহ জনগণের কাছে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিচার প্রশাসনে এরূপ অবস্থা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এই প্রেক্ষাপটে অধস্তন আদালতের সংশ্লিষ্ট বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণকে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ও সপ্তাহের শেষ দিনে বা অন্যান্য কার্যদিবসে কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান না করার নির্দেশ দেওয়া গেলো। আইন সচিবসহ অধস্তন আদালতের সকল পর্যায়ের বিচারকদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার দায়িত্ব পালনকালে দুই দফায় নিম্ন আদালতের বিচারকদের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছিলেন।
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ কুমিল্লার দুই মামলার মধ্যে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২ জুলাই রায় দেবে আপিল বিভাগ। কুমিল্লার অপর একটি মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছে আদালত। আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। গত ২৮ মে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই জামিন স্থগিত করে দেয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে দুদক। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার আপিল শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দিবে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন জানান দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার। এই আপিল ছাড়াও আরও দুটি আপিল রয়েছে। এ পর্যায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি করতে বাধ্য। যেহতুে আপিলের নম্বর উল্লেখ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা রয়েছে। তবে দুদকের মামলা শুনানির এখতিয়ার না থাকায় অন্য দুটি আপিল শুনতে পারব না। এরপরই হাইকোর্ট শুনানির দিন ধার্যের জন্য আপিলটি কালকের কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন।
অবকাশ শেষে সুপ্রিম কোর্ট খুলছে আগামী রবিবার।ইতোমধ্যে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে ৫৮টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চের তালিকাসহ বিস্তারিত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ জুন থেকে এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত ৩ জুন থেকে আজ ২১ জুন পর্যন্ত সরকার ঘোষিত ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং কোর্টের অবকাশের কারণে সুপ্রিমকোর্টের নিয়মিত বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কাল শুক্রবার ও পরদিন শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার থেকে যথারীতি নিয়মিত বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। তবে অবকাশকালীন জরুরী বিষয় শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্টে বিচারিক কার্যক্রম চলেছে। এছাড়াও প্রধান বিচারপতি সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে ১১টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করে দেন। অবকাশে এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক পেশ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৮ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ছিল এ মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ৮৬তম দিন। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। আজ ৫ম দিনের মতো আসামি পুলিশের প্রাক্তন এএসপি আব্দুর রশিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করেন তার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। এই যুক্তিতর্ক পেশ অসমাপ্ত রয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা রয়েছে আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন। এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়। আসামিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেছে। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, বিশেষ পিপি মো. আবু আব্দুলাহ ভূঞা, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা, অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত, আশরাফ হোসেন তিতাস প্রমুখ। অপরদিকে আসামিপক্ষে আবদুস সোবহান তরফদার ছাড়াও বিভিন্ন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। মামলার আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। অন্যদিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের অভিযোগে ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন। গত বছরের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ১০ হাজার টাকা মুসলেকায় জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ জুন আসিফের ৫ দিনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪ এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে শফিক তুহিন জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়া তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাদুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর শফিক তুহিন গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের লাইভ ভিডিওতে আসিফ অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। এ ছাড়া শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। এতে শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।