তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি?
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): রমজান মানেই রোজাদারদের জন্য বিশেষ এক পরীক্ষা। এ পরীক্ষা যেমন মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের, ঠিক তেমনি সুস্থ সবল দেহে পরিপূর্ণভাবে সব আমল ও ইবাদত সম্পন্ন করার। সেই আমল ও ইবাদত পালন করার সময় আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি না! মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বেতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবিহ নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবিহ’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবিহ নামাজ বলা হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর এশার নামাজ শেষে আমরা সাধারণত তারাবিহ নামাজ পড়ে থাকি। ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ পড়ার পর বেতর নামাজ পড়ে আমরা বাসায় ফিরে আসি। আর এই রমজান মাসের জন্য নির্দিষ্ট তারাবিহ নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অপরদিকে রমজানের পুরো মাস মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম হলো রোজা, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এখন কথা হলো এই তারাবিহ নামাজ আসলে কী? তারাবিহ নামাজের সঙ্গে রোজার কী সম্পর্ক? তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি না–এ বিষয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে না। আসলে বিষয়টি ঠিক নয়। কেন ঠিক নয়, সে বিষয়েই ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান আমাদের আলোকপাত করেছেন। চলুন জেনে নিই তার মুখেই– তারাবিহ নামাজ কোনো কারণে কেউ পড়তে না পারলে অনেকে মনে করেন তারাবিহ যেহেতু পড়তে পারলাম না, তাহলে রোজা রেখে লাভ নেই। বিষয়টি একদমই ঠিক নয়। কেননা, তারাবিহ নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু রোজা রাখায় আছে। রোজা রাখা ফরজ, যা অবশ্যই পালনীয়। তারাবিহ নামাজ রাসুল (সা.) পড়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় এই নামাজ মুসলমানরা পড়ে আসছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে এখন অবধি ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সব মসজিদেই ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ পড়া হয়। কিন্তু যদি কেউ তারাবিহ নামাজ পড়তে না পারার জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা না রাখেন, তাহলে তিনি অনেক বড় ভুল করবেন। কেননা, তারাবিহ হচ্ছে সুন্নত আর রোজা ফরজ। ফরজ মানে অবশ্য পালনীয়। তাই রোজার সঙ্গে তারাবিহর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু রোজা রেখে তারাবিহ নামাজ পড়লে তাতে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে। রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসে তারাবিহ নামাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম দেওয়া হয়। আপনি যদি রমজানের পুরো মাস ধারাবাহিকভাবে তারাবিহ নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে আপনি পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার সওয়াবও পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি কেউ তারাবিহ নামাজ পড়তে না পারেন তাতে সমস্যা নেই। এতে রোজায় কোনো প্রভাব পড়বে না। তারাবিহ নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা হবে। সবশেষে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি, তিনি যেন রমজান মাসৎসংশ্লিষ্ট সব ইবাদত আমাদের পালন করার তৌফিক দান করেন। আমরা যেন রমজানের সবকটি রোজা রেখে তারাবিসহ বাকি আমলগুলো পালন করতে পারি।
সূত্র: সময় নিউজ
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): রমজান মানেই রোজাদারদের জন্য বিশেষ এক পরীক্ষা। এ পরীক্ষা যেমন মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের, ঠিক তেমনি সুস্থ সবল দেহে পরিপূর্ণভাবে সব আমল ও ইবাদত সম্পন্ন করার। সেই আমল ও ইবাদত পালন করার সময় আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি না! মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বেতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবিহ নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবিহ’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবিহ নামাজ বলা হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর এশার নামাজ শেষে আমরা সাধারণত তারাবিহ নামাজ পড়ে থাকি। ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ পড়ার পর বেতর নামাজ পড়ে আমরা বাসায় ফিরে আসি। আর এই রমজান মাসের জন্য নির্দিষ্ট তারাবিহ নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অপরদিকে রমজানের পুরো মাস মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম হলো রোজা, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এখন কথা হলো এই তারাবিহ নামাজ আসলে কী? তারাবিহ নামাজের সঙ্গে রোজার কী সম্পর্ক? তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি না–এ বিষয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তারাবিহ নামাজ না পড়লে রোজা হবে না। আসলে বিষয়টি ঠিক নয়। কেন ঠিক নয়, সে বিষয়েই ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান আমাদের আলোকপাত করেছেন। চলুন জেনে নিই তার মুখেই– তারাবিহ নামাজ কোনো কারণে কেউ পড়তে না পারলে অনেকে মনে করেন তারাবিহ যেহেতু পড়তে পারলাম না, তাহলে রোজা রেখে লাভ নেই। বিষয়টি একদমই ঠিক নয়। কেননা, তারাবিহ নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু রোজা রাখায় আছে। রোজা রাখা ফরজ, যা অবশ্যই পালনীয়। তারাবিহ নামাজ রাসুল (সা.) পড়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় এই নামাজ মুসলমানরা পড়ে আসছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে এখন অবধি ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সব মসজিদেই ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ পড়া হয়। কিন্তু যদি কেউ তারাবিহ নামাজ পড়তে না পারার জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা না রাখেন, তাহলে তিনি অনেক বড় ভুল করবেন। কেননা, তারাবিহ হচ্ছে সুন্নত আর রোজা ফরজ। ফরজ মানে অবশ্য পালনীয়। তাই রোজার সঙ্গে তারাবিহর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু রোজা রেখে তারাবিহ নামাজ পড়লে তাতে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে। রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসে তারাবিহ নামাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম দেওয়া হয়। আপনি যদি রমজানের পুরো মাস ধারাবাহিকভাবে তারাবিহ নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে আপনি পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার সওয়াবও পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি কেউ তারাবিহ নামাজ পড়তে না পারেন তাতে সমস্যা নেই। এতে রোজায় কোনো প্রভাব পড়বে না। তারাবিহ নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা হবে। সবশেষে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি, তিনি যেন রমজান মাসৎসংশ্লিষ্ট সব ইবাদত আমাদের পালন করার তৌফিক দান করেন। আমরা যেন রমজানের সবকটি রোজা রেখে তারাবিসহ বাকি আমলগুলো পালন করতে পারি।
সূত্র: সময় নিউজ
|
|
|
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বুধবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সাহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অন্যদিকে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। এ ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সাহরি।
সূত্র: জাগো নিউজ
|
|
|
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে তা বুধবার (২২ মার্চ) জানা যাবে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৪ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও রোজা রাখবেন মুসলমানরা। সেক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়বেন এবং শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তবে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ ও শেষ রাতে খেতে হবে সেহরি। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সূত্র: সময় নিউজ
|
|
|
|
Online Desk(DTV BAGLA NEWS): পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবেবরাত বলা হয়। সে হিসেবে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পবিত্র শবেবরাত। আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও পাপ থেকে মুক্তির আশায় সারারাত ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকবেন মুসল্লিরা। তবে শুধু এই একটা রাত ইবাদত করে সব ভাগ্য পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা। ইসলামি বিশ্লেষকরা বলছেন, শাবান মাসের মধ্য রাতে আল্লাহ তায়ালা রাতের প্রথম থেকেই বান্দাদের প্রতি তার রহমতের দৃষ্টি দেন। মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে শিরক আর হিংসুক মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম সময় সংবাদকে বলেন, ‘এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের দিকে মনোযোগী হন। আর মনোযোগী হয়ে বান্দাদের বিভিন্ন ভাষায় ডাকেন। কোনো ক্ষমাপ্রত্যাশী ব্যক্তি আছে কি, তাকে আমি ক্ষমা করে দেব। কোনো অনুগ্রহ কামনাকারী ব্যক্তি আছে কি, তাকে আমি অনুগ্রহ করব। কোনো রিযিকের প্রত্যাশী ব্যক্তি আছে কি, তাকে আমি রিযিক দেব, কোনো অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি, তাকে সুস্থতা দেব, মুক্ত করে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই আমাদের উচিত এই রাতে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য প্রার্থনা করা।’ ঢাকার সোবহানবাগ মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘মধ্য শাবানের রজনীটা বরকতময় রজনী। তবে আমাদের দেশে এই রজনীকে নাম দেয়া হয় ভাগ্যরজনী। কিন্তু এটা উচিত নয়। কোরআন এবং সুন্নাহে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবানকে ভাগ্যরজনী বলাটা প্রমাণ হয় না। বরং ভাগ্যরজনী হলো রমজানের শেষ দশকের বিজোড় যেকোনো একটা রাত। মধ্য শাবানের রজনীটা হলো একটা বোনাস। কারণ বোনাস সেই ব্যক্তি পায়, যার চাকরি চলমান। মধ্য শাবানের রজনীর মর্যাদা, ফযিলত ওই ব্যক্তির জন্য, যিনি ধারাবাহিকভাবে সারা বছর ইবাদত করে ওই রাতেও ইবাদত করেন। তবে হ্যাঁ, সৌভাগ্য তাদের জন্যও, যারা পেছনের দিনগুলোতে ঠিকমতো ইবাদত করেননি, কিন্তু ওই রাত থেকে তওবা করেন যে আর জীবনে অপরাধ করবেন না, নামাজ-রোজ ছেড়ে দেবেন না। এভাবে নতুন অধ্যায় শুরু করলে, তার জন্য সৌভাগ্য। ‘তবে যদি কেউ মনে করেন যে এই রাতটা কেবল ভাগ্যরজনীর, আর একটা রাত ইবাদত করে ভাগ্য সব পেয়ে যাব, তাহলে সেটা বোকার স্বর্গে বসবাস ছাড়া কিছুই নয়’- যোগ করেন মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ। তিনি আরও জানান, দুই প্রকার মানুষ ছাড়া আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করে দেন। একটা হলো মুশরিক, যার জীবনে শিরক রয়েছে। অন্যটা হলো মুশাহিন, মানে হিংসুক। এদিকে মূলত শাবান মাস রমজানের প্রস্তুতির জানান দেয়। এ রাতকে কেন্দ্র কোরে আতশবাজি, আলোকসজ্জা আর উৎসব পালন করা শরিয়তসম্মত নয় বলে জনান ইসলামি চিন্তাবিদরা। এ প্রসঙ্গে মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম বলেন, ‘একশ্রেণির মানুষ শবেবরাতকে উৎসব মনে করে থাকেন। এটা কিন্তু একেবারে পরিত্যাজ্য। যতটুকু প্রমাণিত, এর চেয়ে বেশি ঘটা করে এই রাত উদ্যাপন করার কোনো সুযোগ নেই। মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘শবেবরাতের নামে আতশবাজি, আলোক প্রজ্বলন আর উৎসব পালন শরিয়তের বিধান নেই। শাবান মাসসহ আররি প্রতি মাসের ১৩ ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নত বলে জানান ইসলামি বিশ্লেষকরা।
সূত্র: সময় নিউজ
|
|
|
|
Online Desk(DTV BANGLA NEWS): পবিত্র রমজান মাস অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। চলতি বছর (১৪৪৪ হিজরি) রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাব্য দিন আগামী ২৪ মার্চ। যদিও তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তবে এ উপলক্ষে সেহরি ও ইফতারের চূড়ান্ত সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৩ বা ২৪ মার্চ থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। সম্ভাব্য ২৪ মার্চকেই প্রথম রমজান ধরে এ সূচি ঘোষণা করা হয়। সূচি অনুযায়ী, প্রথম রমজানে ঢাকায় সাহরির শেষ সময় রাত ৪টা ৩৯ মিনিট এবং ইফতারির সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ রমজান চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এ সূচিতে সাহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। আর ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছে। অতএব, সাহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে প্রকাশিত সময়সূচির সঙ্গে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৯ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ৯ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে অন্যান্য জেলার সাহরি ও ইফতারের সময় নির্ধারণের সংক্ষিপ্ত নির্দেশনাও যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
সূত্র: সময় নিউজ
|
|
|
|
DTV BANGLA NEWS: ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শবে মেরাজের তারিখ নির্ধারণের জন্য সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। রোববার (২২ জানুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শবে মেরাজের তারিখ নির্ধারণ এবং পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখার লক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিচের টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। টেলিফোন নম্বরগুলো হলো- ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ ফ্যাক্স নম্বর : ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
|
|
|
|
সারা দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে আগামী ৯ অক্টোবর (রোববার)। বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামী বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন ইসালামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিন। এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর তারিখ নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ঈদে মিলাদুন্নবীতে সরকারি ছুটি থাকে। ১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তার মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদগুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।
|
|
|
|
অবশ্যই তোমাদের জন্য রয়েছে নবিজির জীবনে সর্বোত্তম আদর্শ। সত্যিই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বকালের সর্বযুগের বিশ্বমানবতার জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় উত্তম চারিত্রিক আদর্শের অনন্য নমুনা। এ সম্পর্কে কোরআন সুন্নাহর বর্ণনা শেষ করা যাবে না, যেভাবে আল্লাহর পরিচয়, দয়া ও অনুগ্রহ লিখে শেষ করা যায় না। কেমন ছিল নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান চরিত্র? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উজ্জ্বল চরিত্র আমাদের জন্য অনুসরণ এবং অনুকরণ করা আবশ্যক। কেননা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি অপছন্দনীয় এবং আখেরাতে আমার কাছ থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করবে, যে অসচ্চরিত্র। (মুসনাদে আহমাদ), নবিজির সুমহান চারিত্রিক মর্যাদা এতো বেশি ছিল যে, স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে সারা বিশ্বজাহানের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। তাঁর প্রতি তিনি রহমত প্রেরণ করেছেন। ফেরেশতারা রহমত প্রেরণ করেছেন আর ঈমানদার বান্দাদেরও দরুদ ও সালাম প্রেরণে মহান আল্লাহ নির্দশ দিয়েছেন। এসবই তার মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ। মর্যাদা ও গুণে যেমন ছিলেন তিনি- ১. তিনি ছিলেন রহমত। বিশ্ববাসীর জন্য রহমত ছিলেন তিনি। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ‘আর আমি তো আপনাকে বিশ্বজগতের প্রতি শুধু করুণা রূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৭) ২. নবিজির নাম শুনলেই তাঁর প্রতি দরুদ পড়া আবশ্যক হয়ে যায়। মহান আল্লাহ, তার ফেরেশতা ও ঈমানদররা তাঁর প্রতি দরুদ পড়েন। আল্লাহ তাআলা বলেন- اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবির প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবির জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো এবং তাকে উত্তমরূপে অভিবাদন কর তথা (দরুদ ও সালাম পেশ কর।)’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬) ৩. আল্লাহ তাআলা নিজেই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। কোরআনুল কারিমের মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন- اِنَّكَ لَعَلي خُلُقٍ عَظِيْمٍ ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা ক্বালাম : আয়াত ৪) ৪. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই তাঁর চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন- اِنَّمَا بُعِثْتُ لِاُتَمِّمَ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ ‘আমি তো উত্তম চরিত্রের পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।’ (কানযুল উম্মাল) ৫. কেমন ছিলেন নবিজি? এমন প্রশ্নের উত্তরে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা চমৎকার জবাব দিয়েছিলেন। কী ছিল তাঁর উত্তর? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংক্ষিপ্ত অথচ অত্যন্ত ব্যাপক অর্থবহ শব্দে বলেন- كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْأَنَ ‘আল-কোরআনেই ছিল তাঁর চরিত্র।’ অর্থাৎ কোরআন মাজিদে যেসব উত্তম চরিত্র ও মহান নৈতিকতার কথা উল্লেখ রয়েছে সে সবই তাঁর মাঝে বিদ্যমান ছিল। কোরআনে বর্ণিত চরিত্র অপেক্ষা উত্তম চরিত্র আর কী হতে পারে? তিনি ছিলেন পবিত্র কোরআনের চরিত্রমালার জীবন্ত প্রতীক। এ কারণেই সর্বকালের সর্বযুগের ইসলামিক স্কলারগণ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিকগুণের গবেষণায় এ কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, ‘তাঁর সততা ও নবুয়তের জন্য কোনো মুজেজা যদি নাও দেওয়া হতো, শুধুমাত্র তাঁর সুমহান চরিত্রই নবুতের সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট ছিল। এমনকি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রহমতি ও বরকতি আকার-আকৃতিতেও এ কথার প্রমাণ হয়ে যেত যে, তিনি একজন সত্যবাদী নবি ও রাসুল।‘ নিঃসন্দেহে এ কথা সত্য যে, ইসলামে উত্তম চরিত্রের মর্যাদা অনেক বেশি। এ তালিম তথা শিক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে অগণিত অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছিলেন। আর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা বিধান করেছেন। মহান আল্লাহ উম্মতে মুসলিমাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ গ্রহণ করে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
|
|
|
|
আজ মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা। কারবালার বিষাদময় ঘটনাসহ নানা ঘটনার স্মরণে আরবি সনের হিজরি বছরের প্রথম মাসের ১০ মুহাররম পবিত্র আশুরা পালিত হয়। বিভিন্ন কারণে মুসলিম ধর্মের সুন্নিদের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তবে শিয়া মতালম্বীদের কাছে এটি বিষাদের দিন। বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়। এদিন সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে হোসনি দালান ইমামবাড়া হতে শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (র:)-কে কারবালা-প্রান্তরে হত্যার স্মরণে মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায় মহরম মাসে তাজিয়া মিছিল বের করে। এদিকে, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।
|
|
|
|
চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে রোববার (৫ জুন)। এদিন সকাল ৯টায় প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব যাচ্ছেন ৪১৫ জন হজযাত্রী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩০০১ দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য প্রথম ফ্লাইট পরিচালিত হবে। শনিবার (৪ জুন) সরকারি হজযাত্রীর প্রথম ফ্লাইটের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘উদ্বোধনী ফ্লাইট উপলক্ষে রোববার সকালে বিমানের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীও থাকবেন। ওনারা হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন এবং দোয়া করা হবে।’ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন। শুক্রবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ অংশে সৌদি আরবের কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট শেষ হবে ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ আগস্ট।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ রমজান বরকতময় মাস। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে এমন একটি মহিমান্বিত রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। রসুলে পাক (সা.)-এর রোজাগুলো কেমন ছিল? তিনি সাহরিতে কী খেতেন, ইফতার করতেন কোন ফলটি দিয়ে? আর তাঁর সাহাবিরাই বা রোজা করতেন কোন নিয়মে? সব মুসলমানের মধ্যেই এ সম্পর্কে আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। রমজানের প্রস্তুতির জন্য শাবান থেকেই নফল রোজা শুরু করতেন নবীজী (সা.)। হজরত আয়শা (রা.) বলেন, ‘আমি রসুল (সা.)-কে শাবান মাস ছাড়া আর কোনো মাসেই এত বেশি নফল রোজা রাখতে দেখিনি। (বুখারি) তিনি (সা.) সাহাবিদেরও রোজার প্রস্তুতির জন্য উৎসাহ দিতেন।
হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) কোনো একজনকে বলছিলেন, হে অমুকের পিতা! তুমি কি শাবান মাসের শেষ দিকে রোজা রাখনি? তিনি বললেন, না। রসুল (সা.) বললেন, তাহলে তুমি রমজানের পরে দুটি রোজা পূর্ণ কর। (বুখারি)
রমজানের ঠিক আগে আগেই রসুল (সা.) রমজানের ফজিলত এবং বরকত সম্পর্কে সাহাবিদের জানিয়ে দিতেন। এ সম্পর্কে অনেক হাদিসের মধ্যে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান বরকতময় মাস। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে এমন একটি মহিমান্বিত রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’ (মুসলিম) বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় রসুল (সা.) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতেন। হাদিসের বর্ণনা থেকে পাওয়া কেউ এসে তাকে সংবাদ দিত তিনি তা ঘোষণা করার অনুমতি দিতেন। তিনি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ এবং চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়।’ (বুখারি)
জাঁকজমকহীন অনাড়ম্বর রোজা পালন করতেন রসুল (সা.)। নবীজী (সা.)-এর সাহরি ও ইফতার ছিল সাধারণের চেয়েও সাধারণ। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রসুল (সা.) কয়েকটি ভিজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভিজা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভিজা কিংবা শুকনো খেজুর কোনোটাই না পেলে পানিই হতো তার ইফতার।’ (তিরমিজি) রসুল (সা.) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করতে পছন্দ করতেন। ইফতারে দেরি করা তিনি পছন্দ করতেন না। তেমনিভাবে রসুল (সা.)-এর সাহরিও ছিল খুব সাধারণ। তিনি (সা.) দেরি করে একেবারে শেষ সময়ে সাহরি খেতেন। সাহরিতে তিনি দুধ ও খেজুর পছন্দ করতেন। এ সম্পর্কে সময়োপযোগী একটি হাদিস উল্লেখ করতে হয়। আহলে সুফফার অন্যতম সদস্য, সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন আজান শুনে, আর এ সময় তার হাতে খাবারের পাত্র থাকে, সে যেন আজানের কারণে খাবার বন্ধ না করে, যতক্ষণ না সে নিজের প্রয়োজন পূর্ণ না করে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মুয়াজ্জিন এ আজান দিতেন ফজর উদ্ভাসিত হওয়ার পরই। (সুনানে আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়, হাদিস নং ২৩৪২; মুসনাদে আহমাদ; ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৫১০, সনদ হাসান।) অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে রসুল (সা.)-এর ইবাদতের পরিমাণ বেড়ে যেত। বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী তিনি (সা.) প্রবাহিত বাতাসের মতো দান করতেন। রমজানে রসুল (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে কোরআন শুনাতেন। আবার জিবরাইল (আ.) হজরত (সা.)-কে কোরআন শুনাতেন। রমজানের রাতে তিনি (সা.) খুব কম সময় বিশ্রাম নিয়ে বাকি সময় নফল নামাজে কাটিয়ে দিতেন। নির্ভরযোগ্য হাদিস থেকে জানা যায়, রসুল (সা.) তিন দিন সাহাবিদের নিয়ে তারাবি পড়েছেন। চতুর্থ দিন থেকে তিনি ঘরে আর সাহাবিরা বাইরে নিজেদের মতো নামাজ পড়তেন। খলিফা ওমর (রা.)-এর সময় জামাতে তারাবি পড়ার প্রচলন হয়। আমাদের দেশে রমজান এলেই তারাবি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। যা মোটেই কাম্য নয়। তারাবি সুন্নত নামাজ। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হারাম। আমাদের সুবিধামতো আমরা নামাজ পড়ব, অসুবিধা থাকলে না পড়ব। কিন্তু সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করার অধিকার আমাদের কারও নেই। শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা রসুল (সা.)-এর নিয়মিত সুন্নত ছিল। ইতিকাফে কদরের রাত তালাশ করাই মূল উদ্দেশ্য। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য! শেষ দশকে আমাদের মসজিদগুলো মুসল্লিশূন্য থাকে। রসুল (সা.) শাওয়ালের চাঁদ দেখে রোজা ছাড়তেন।
|
|
|
|
ডিটিভি বাংলা নিউজঃ প্রত্যেক মুসলমানেরই স্বপ্ন থাকে পবিত্র কাবাঘরে নামাজ আদায় এবং হজ পালনের। ইচ্ছাটা সারা বছর থাকলেও রমজান মাসে ওমরাহ্ পালনে মক্কা-মদিনা নগরীতে ভিড় করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ করা হজ করার সমতুল্য— এই সহি হাদিসের বর্ণনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পৃথিবীর নানাপ্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নামে সৌদি আরবে। পুরো রমজান মাস মক্কা নগরীর পবিত্র কাবাঘরের কাছাকাছি কাটানোর আকাঙ্ক্ষায়ও ছুটে আসেন অনেকে। ওমরাহ বছরের যে কোনো সময় পালন করা জায়েজ। শুধু পাঁচ দিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ হতে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত ওমরাহ ইহরাম বাঁধা মাকরুহে তাহরিমি। রমজানের ওমরাহ ওই হজের সমান, যা হুজুর (সা.)-এর সঙ্গে সমাপন করা হয়েছে। ওমরাহ হজ পালনের প্রথম এবং প্রয়োজনীয় বিষয়টি হলো হজ পালনের যাবতীয় খরচ।
পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের কয়েকটি প্যাকেজ বা ধাপ রয়েছে। এবারের ওমরাহ পালনে সাতটি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপে এবং (স্বল্প খরচে) মাত্র ৬৫ হাজার টাকায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। তৃতীয় ধাপে রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। চতুর্থ ধাপে ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। পঞ্চম ধাপে ১ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়। ষষ্ঠ ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকায় এবং সপ্তম ধাপে ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকায়। এর মধ্যে দুই থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে মক্কা ও মদিনায় হেরেম শরিফের কাছে পাঁচ তারকা হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা। এ প্যাকেজে আরও থাকছে এমিরেটসের মতো প্রথম সারির বিমানের প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা। এ ছাড়াও রমজানকে কেন্দ্র করে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি ওমরাহ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ৬৫ থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের ইকনোমি ক্লাসে যাতায়াত করতে হবে ওমরাহ হাজীদের। মাহে রমজানকে সামনে রেখে ওমরাহ পালনে এমন ধরনের কিছু প্যাকেজ হাতে নিয়েছে দেশের কয়েকটি বেসরকারি হজ এজেন্সি। রমজানকে সামনে রেখে এবার ওমরাহ হজ পালনে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অনেকে যোগাযোগ শুরু করেছেন হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে। আবার অনেকে পাসপোর্টসহ নির্ধারিত ফি জমা দিয়েছেন। আবার অনেকে এমন সুযোগ হাত ছাড়া করতে রাজি নন। এর মধ্যে দেশের কয়েকটি বেসরকারি হজ এজেন্সি মক্কা ও মদিনায় গ্রুপ পাঠাতে প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ৬৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায় যারা ওমরাহ পালন করবেন তাদের জন্য আবাসন থাকবে মক্কা ও মদিনার হেরেম শরিফ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মসজিদুল জিনের পাশে। যারা ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় ওমরাহ পালন করতে চান তাদের জন্য আবাসন থাকবে মেসফালাহ এলাকার গেন্ডারি রোডে। ওমরাহ গমনেচ্ছু যারা ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয় করবেন তাদের জন্য কবুতর মাঠের পাশে। রাজধানীর কয়েকটি বেসরকারি হজ এজেন্সির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এ সব তথ্য। জানতে চাইলে আল-নাসের এভিয়েশন সার্ভিসের কর্মকতা আবদুর রকিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসন্ন রমজানে আমাদের ন্যূনতম প্যাকেজ মূল্য হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু। সেন্ট্রাল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলার্সের মালিক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী বলেন, আমি আসন্ন রমজানে ওমরাহ প্যাকেজের জন্য নির্ধারণ করেছি মাত্র এক লাখ টাকায়। আর আবাসন থাকবে কবুতর মাঠের পাশে। একইভাবে মদিনায়ও মসজিদে নববীর কাছাকাছি রাখা হয়েছে। লামিয়া হজ এজেন্সির মালিক ওয়াকিল হোসেন বলেন, আমি ওমরাহ হজের জন্য আসন্ন রমজানে পাঁচ তারকা হোটেলে আবাসন ব্যবস্থাসহ একটি প্যাকেজ রেখেছি। অনেকে নাম লিখেছেন। ওমরাহ যাত্রীদের এমিরেটস বিমানের প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করাব প্রস্তুতি রয়েছে।
|
|
|
|
কক্সবাজারের বালুখালি শরণার্থী শিবিরের ২৫ জন এতিম রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা, খাদ্য ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আরবি ও কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চেষ্টা চলছে তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বের করার।
এদের সবাই রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে হারিয়েছে তাদের বাবা, মা কিংবা ভাইকে। দেখেছে চোখের সামনে তাদের স্বজনদের হত্যা করতে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মোহাম্মদ বেলাল বলেন, আমাদের বাড়ি মিয়ানমারের ক্রাউক প্রাং গ্রামে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার বাবা ও মা দুজনকেই হত্যা করে। আমার বোন এখনো নিখোঁজ।
মোহাম্মদ আমান বলেন, সেনাবাহিনী আমার বাবা-মাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। সবার সঙ্গে আমিও পালিয়ে এসেছি।
মিয়ানমারের নির্যাতন থেকে মুক্তি মিললেও, নতুন আশ্রয়স্থলে ভয় আর শঙ্কা নিত্যসঙ্গী। একদিকে বন্য হাতি কিংবা বিষাক্ত সাপ, অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাওয়ায় ভয়। স্বস্তি আর নিশ্চিন্ত জীবন কোথায়।
এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলো স্থানীয় একটি মাদ্রাসা। তাদের সাধ্যমত ২৫ শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব নিলো মাদ্রাসাটি। একইসঙ্গে এই শিশুদের পরিবারের নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতেও কাজ করছে বলে জানালো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
রোহিঙ্গা এই শিশুরা তাদের নিজস্ব পরিসর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন একটি পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হওয়ায় তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, আরবি ও কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি তাদের সুস্থ- সুন্দর জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ রফিক বলেন, এদের কারোরই বাবা-মা বেঁচে নেই, তারা সবাই এতিম। এতিমখানার পক্ষ থেকে আমরা তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেইসঙ্গে এখানে তাদের আরবি ও কোরআন শিক্ষাও দেয়া হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশের ঠিকানা হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে।
|
|
|
|
রাসূল (সা.) তাঁর জীবনের একাংশ কাটিয়েছেন মক্কায়, এবং অন্য অংশ কাটিয়েছেন মদীনায়। নবুওতপ্রাপ্তির পর তাঁর মক্কী ও মাদানী উভয় জীবনপর্বেই বিভিন্ন জায়গায় ও সময়ে আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। শহরে, গ্রামে, পাহাড়ে, পাহাড়েরর পাদদেশে, উপত্যকায়, রাতে ও দিনে, শীত ও গ্রীষ্মে, ঘরে ও সফরে, যুদ্ধকালীন ও শান্তিকালীন অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর কোরআন নাজিল হয়েছে।
নবুয়ত ঊষাকাল মক্কায় যখন কুরআন নাজিল হয়েছে, তখন মুসলমানদের সংখ্যা ছিল অতি অল্প, আর মুশরিকরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। আল কোরআন এ পর্যায়ে মুমিনদের অন্তরাত্মা সংশোধন , তাদের ঈমানে দৃঢ়তা সৃষ্টি, তাদের চিন্তাচেতনা পরিশুদ্ধকরণের জন্য যে পদ্ধতি খেতাব অধিক উপযোগী, তা ব্যবহার করে তাদের খেতাব করেছে। এর বিপরীতে সত্য গ্রহণের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মুশরিকদের আহ্বান জানানো, তাদের বাতিল বিশ্বাসসমূহের অসারতা তুলে ধরা, যুক্তির মাধ্যমে তাদের নানা সন্দেহ ও অলীক ধারণাগুলো রদ করা, পরকালীন আযাব ও ভয়ংকর পরিণতি সম্পর্কে তদের হুঁশিয়ার করে দেয়ার জন্য মুশরিকদের খেতাবের জন্য যে ধরনের পদ্ধতির প্রয়োজন আল কুরআন তার ভাষায় ও বিষয়বস্তু চয়নে তা সর্বশীষ পর্যায়ে ব্যবহার করেছে।
এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় হিজরত করে গেলেন মুহাজির ও আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন কায়েম করলেন, তখন শুরু হলো নতুন এক পর্ব, যা মাদানী পর্ব থেকে ভিন্ন। এবার আল-কোরআনের সম্ভোধনের প্রাথমিক পাত্র হলো মুসলিম সম্প্রদায় যারা স্বাধীন পরিবেশে ইতোমধ্যেই বসবাস করতে শুরু করেছেন, যাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈত জীবনকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য প্রয়োজন রয়েছে সুসংহত বিধানাবলির। অতএব মাদানী কোরআনের খেতাব পদ্ধতি ও বিষয়বস্তুতে আনা হয়েছে পরিবর্তন তাওহীদ, আখেরাত ও রিসালতের প্রতি পূর্বের ন্যায় গুরুত্বারোপ অব্যাহত রেখে। আল কোরআনের বাণীর মর্ম উদ্ধারের ক্ষেত্রে যেহেতু নুযূলে কুরআনের স্থান ও কাল-বিষয়ক জ্ঞানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, অতএব আলেমগণ বিষয়টিকে খুব গুরুত্বসহ নিয়েছেন এবং জ্ঞানগবেষণার সর্বোচ্চ মানদ- প্রয়োগ করে তাঁরা, কুরানিক খেতাবের নির্দেশ বিষয়ে সঠিক সঠিক জ্ঞান লাভের েেত্র যেহেতু আল কোরআন নাজিল হওয়ার স্থান ও কাল সম্পর্কে ধারণা থাকাটা উপকারি আল কুরআন বিশেষজ্ঞগণ মক্কী ও মাদানী নির্ধারণে অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা প্রতিটি আয়াত ও সূরার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল আল কুরআন নাজিল হওয়ার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তা বোঝার চেষ্টা করা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা নাজিল হওয়ার স্থান বা কালের বিচারেই কেবল তাঁরা অনুসন্ধানকর্ম চালাননি, এর সঙ্গে বরং যোগ করেছেন নাজিল হওয়ার স্থান-কাল ও বক্তব্যের ধরণ-ধারণ নিরীা করে দেখার প্রক্রিয়া। মক্কী ও মাদানী নির্ধারণে, বলতে হবে, এটা ছিল জ্ঞান গবেষণাগত নিখুঁত মানদ-ের অনুসরণ।
মক্কী ও মাদানী সুরা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মুফাসসিরগণ বা কোরআন গবেষকগণ যেসব আলোচ্য বিষয়গুলোকে নির্ণিত কেরেছেন সেগুলো হলো- ১- যা মক্কায় নাজিল হয়েছে। ২- যা মদীনায় নাজিল হয়েছে। ৩- যেসব আয়াতের মক্কী ও মাদানী নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতানৈক্য রয়েছে। ৪- মাদানী সূরাসমূহে মক্কী আয়াত। ৫- মক্কী সূরাসমূহে মাদানী আয়াত। ৬-যা মক্কায় নাজিল হয়েছে অথচ তা মাদানীর হুকুমভুক্ত। ৭-যা মদীনায় নাজিল হয়েছে অথচ তা মক্কীর হুকুমভুক্ত। ৮-মাদানী কোরআন-অংশে যা মক্কী কোরআন-অংশের সদৃশ। ৯-মক্কী কোরআন-অংশে যা মাদানী কোরআন-অংশের সদৃশ। ১০- যা মক্কা থেকে মদীনায় বহন করে নেয়া হয়েছে। ১১- যা মদীনা থেকে মক্কায় বহন করে নেয়া হয়েছে। ১২-যা রাতে নাজিল হয়েছে এবং যা দিনে নাজিল হয়েছে। ১৩-যা গ্রীষ্মে এবং যা শীতে নাজিল হয়েছে। ১৪-যা মুকীম অবস্থায় নাজিল হয়েছে এবং যা মুসাফির অবস্থায় নাজিল হয়েছে।
মদীনায় নাজিল হওয়া সূরাসমূহ : এ ক্ষেত্রে অধিক বিশুদ্ধ অভিমত হলো যে মাদানী সূরার সংখ্যা ২০টি। আর তা হলো নিম্নরূপ ১-আল-বাকারা। ২-আলে-ইমরান। ৩-আন-নিসা। ৪-আল-মায়েদা । ৫-আল-আনফাল । ৬-আত-তাওবা । ৭-আন-নূর। ৮-আল-আহযাব। ৯-মুহাম্মদ। ১০- আল-ফাতহ। ১১-আল-হুজুরাত। ১২-আল-হাদীদ। ১৩-আল-মুজাদালা। ১৪-আল-হাশর। ১৫-আল-মুমতাহিনা। ১৬-আল-জুমআ। ১৭-আল-মুনাফিকুন। ১৮-আত-তালাক। ১৯-আত-তাহরীম।২০-আন-নাসর যেসব সূরার ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে
১-আল-ফাতিহা। ২-আর-রাদ। ৩-আর-রাহমান। ৪-আস-সাফ। ৫-আত-তাগাবুন। ৬-আত-তাৎফীফ। ৭-আল-কাদর। ৮-আল-বাইয়িনাহ। ৯-আয্-যালযালাহ। ১০-আল-ইখলাস। ১১-আল-ফালাক। ১২-আন-নাস এ ছাড়া অন্য যে-সব সূরা রয়েছে তা মক্কী। মক্কী সূরার সংখ্যা হলো ৮২টি। অতএব আল কুরআনের মোট সূরা সংখ্যা হলো ১১৪টি।
|
|
|
|
আগামী ২০ মার্চ থেকে রজব মাস শুরু। হিজরি মাসগুলোর মধ্যে রজব মাস বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের একটি। রাসুলুল্লাহ সা. এ মাসকে খুবই গুরুত্ব দিতেন। ফলে রজবের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন।
রজব মাসের প্রথম রাত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সা. দু’আ কবুল হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন আছে, যেগুলোতে বান্দার দু’আ আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না, অর্থাৎ অবশ্যই কবুল করেন। রাতগুলো হলো, জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শা’বানের ১৫ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)
তবে এ দিনগুলোতে বিশেষ কোনো নামাজ বা রোজার মতো কোনো আমল বা ইবাদতের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এজন্য এ রাতে নির্দিষ্ট কোন আমল না বানিয়ে নফল সব ধরণের আমলা করাই উত্তম। রজব মাসের প্রথম রাতে দোআ কবুল হয়
|
|
|
|
একজন অমুসলিম নেতাকে একটি দল অভিনন্দন জানিয়েছিলো। অমুসলিমকে ঐ দলটির অভিনন্দন করার প্রতি সমর্থন করে একজন ভাই কিছু কথা বলেছিলো সেখানে এক স্থানে তিনি অমুসলিমকে ঘৃণা করার প্রতি ইঙ্গিত করে একটি প্রবচন উল্লেখ করেছিলেন। প্রবচনটি হলো ‘পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়’।
উক্তিটি কার তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, সম্ভবত এটা বিকৃত বাইবেলে আছে। ইসলামে এরকম কথা নেই। আমার মতে কথাটা কিছু ক্ষেত্রে যৌক্তিক আর কিছু ক্ষেত্রে অযৌক্তিক। কারণ সব পাপীর মন একরকম নয়,কথাটার নৈতিক দিক বিশ্লেষণ করলে এর গভীরতম ভাবটা প্রকাশ পায়। পাপকে ঘৃণা করতে হবে, যাতে কেউ পাপ করতে উদ্যত বা উদ্বুদ্ধ না হয়। মানুষ যাতে পাপ বা অপরাধসমূহ কী সে সম্পর্কে শিা গ্রহণ করতে পারে, সে দায়িত্ব রাষ্ট্র ও পরিবারের। পাপকার্য সর্বদাই পরিত্যাজ্য বা বর্জনীয়- এ আদর্শ প্রচারই হলো এ নীতিকথাটির উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবতার নিরীখে ‘পাপীকে ঘৃণা না করা’ কোনো অর্থ বহন করে না। আইনগতভাবে পাপীকেই শাস্তি পেতে হয়, পাপ-এর কোনো সাজা নেই, বা এ কথার কোনো অর্থও নেই। কিন্তু ইসলাম বলে অন্য কথা। যারা বড় বড় পাপ করে তাদের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ঐ প্রবচনটির সম্পূর্ণ বিপরীত।
ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান? তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন : আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট। আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে। তবে ইবরাহীমের তার বাপকে একথা বলা (এর অন্তরভুক্ত নয়) “আমি আপনার জন্য অবশ্যই মা প্রার্থনা করবো।
তবে আল্লাহর নিকট থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত কোন কিছু অর্জন করে নেয়া আমার আয়ত্বাধীন নয়? তাফসীরের কিতাবে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে এর অর্থ হলো, হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁর কাফের ও মুশরিক কওমের প্রতি যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন এবং পরিষ্কার ভাষায় তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে ঘোষণা করেছিলেন তা তোমাদের জন্য অনুসরণীয় । কিন্তু তিনি তাঁর মুশরিক পিতার জন্য আল্লাহর কাছে মা প্রার্থনা করার যে ওয়াদা করেছিলেন এবং কার্যত তা করেছিলেন তার মধ্যে তোমাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নেই। কারণ কাফেরদের সাথে ভালবাসা ও সহানুভূতির সামান্যতম রাখাও ঈমানদারদের জন্য ঠিক নয়।
|
|
|
|
|
|
|