বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার যাত্রী ও পরিবহন পারাপার হয় ফেরিতে। এতে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ভোগান্তিও পোহাতে হয় যাত্রী-চালকদের। তবে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলতি বছরের জুনেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সেতু পারাপারে পরিবহনের টোল হার নির্ধারণ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে দেখা গেছে, ফেরির চেয়ে সেতুতে গুনতে হবে বেশি টাকা । নানা জল্পনা-কল্পনার পরে পরিবহন পারাপারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাতায়াতকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু পরিবহন চালক এতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও নৌপথের দুর্ভোগ এড়াতে দ্রুত যাতায়াত হিসেবে এই টোলকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন অনেকে। তবে টোলের মূল্য আরও একটু কম হওয়ার দাবি সচেতন মহলের। বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহনের চালক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের প্রায়ই ঘাটে এসে যানজটে পড়ে থাকতে হয়। ফলে টাকা কিছুটা বেশি হলেও দ্রুত যাতায়াত করতে পারবো বলে মনে হয়েছে। তবে আমাদের তেমন সমস্যা হবে না। কারণ আমাদের যাত্রীদের ভাড়ার পরিমাণ একটু বেড়ে যাবে। এখন মাদারীপুর থেকে ঢাকার নয়াবাজার জনপ্রতি ভাড়া ২৫০ টাকা, টোল বাড়ায় ভাড়া অন্তত ৫০ টাকা বেড়ে যাবে। তবে আরও একটু কম হলে ভালো হতো।’জুয়েল হাওলাদার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ফেরির চেয়ে সেতুতে টোল বাড়ানো ঠিক হয়নি। আমাদের কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু হয়েছে এটা খুবই ভালো দিক। তবে টোলের যে হার দেখলাম এতে আমাদের আগামীতে চলাচল নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কারণ, পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিবে দ্বিগুণ। এদিকেও সড়ক বিভাগের লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে পূর্বের ভাড়ার চেয়ে আকাশচুম্বী যেন না হয়।’