ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী (৪৫)কে আটক করেছে র্যাব-৮ । ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সকালে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। ফরিদ কাজী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মন্টু কাজীর ছেলে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ জানান, ফরিদপুরের আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার মোঃ ফরিদ কাজী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের চালান সহ তার বসত বাড়ীতে বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল সোমবার সকালে ফুলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফরিদ কাজীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশীকালে তার হেফাজত হতে একটি ওয়ান শুটারগান অস্ত্র, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি দেশীয় পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি দেশীয় ছুরি, একটি ড্রেগার, ১২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত তিনটি সিমকার্ড সহ দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
আটক আসামি ফরিদ কাজীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা এবং গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় ১টি মামলা সহ সর্বমোট ১১টি মামলা আছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার জিআর নং-৩১৫/১৭, তারিখ-২৫/১১/১৭, ধারা- ৪৫৭/৩৮২ পেনাল কোড মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি সে । সালথা এলাকায় আসামি মোঃ ফরিদ কাজীর নামে মারামারি, চুরি, সিঁধেল চুরি, দস্যুতা, ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি, ছুরি, ড্রেগার, ইয়াবা ট্যাবলেট ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সালথা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।