কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানের ওপর ‘হামলাকারীই’ সংবাদ সম্মেলন করে হামলার ঘটনার বিচার চাইছেন দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন থাকলে এই মামলাটি গ্রহণযোগ্যই হতো না। অথচ সেই মিথ্যা মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত থেকে দলবলসহ লাঠিসোটা নিয়ে মাহমুদুর রহমানের ওপর ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় হামলা চালিয়েছে। যারা হামলা চালাচ্ছে তারাই বিচার দাবি করছে। হামলাকারীরাই বিচারপ্রার্থী হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, যার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে তিনিই কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন। তিনিও নাকি বিচার চান। জনগণ জানতে চায়- তিনি আসলে কার বিচার চান? হামলাকারীদের উদ্দেশে ড. মোশাররফ বলেন, আপনারা যারা এ সব করছেন, যাদের হুকুমে করছেন তারা কিন্তু বাতাস বদল হয়ে গেলে এ দেশে থাকবে না। তারা বিদেশে চলে যাবে। এই পুলিশই তখন ছবি দেখে দেখে আপনাদের খুঁজে খুঁজে বের করবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, মাহমুদুর রহমানের আক্রমণ শুধু তার একার ওপর আক্রমণ নয়। তিনি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, এটা সব সংবাদপত্রের সম্পাদকের ওপর আক্রমণ। এ আক্রমণ মানবিক অধিকারের বিরুদ্ধে। সংবাদপত্রের ওপর সরকার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সেই নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্যই এ আক্রমণ। এদেশের প্রত্যেকটি মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এ ঘটনা দেখেছে। সবাই দেখতে পেলেও পুলিশ দেখছে না, হামলাকারীদের এখনো খুঁজে পাচ্ছে না। এ দেশে ব্যাংকের রিজার্ভ লুট হয়, কারা সেই রিজার্ভ লুট করে তা চিহ্নিত করা যায় না। কি কারণে? কারণ, লুট তো তাদের লোকেরাই করে। ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হয়, অর্থমন্ত্রী বলছেন ‘এটা কিছু না’। কেন বলেছেন? কারণ, অর্থমন্ত্রীও জানেন, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এগুলো করেছে। শেয়ার মার্কেটে যারা লুট করেছে তাদের তারা দেখতে পান না। মাহমুদুর রহমানের ওপর যারা হামলা করেছে তাদেরও খুঁজে পাবেন না। কারণ হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার গোয়েবলসের মতো মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদের রেহাই হবে না। তিনি বলেন, এই সরকারের কবল থেকে জনগণ মুক্তি চায়। সরকার জনগণকে ভয় পায়। আর বেগম খালেদা জিয়াকেও সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। কিন্তু দেশের মানুষ বার বার প্রতারিত হতে চায় না। সময় আসছে জনগণই বর্তমান সরকারের পতন ঘটাবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী। বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, দিগন্ত টিভির ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমদ, শাহিন হাসনাত প্রমুখ।