আজ আমাদের সমাজে কন্যা সন্তানরা অনেক বেশি অবহেলিত। সেই সাথে তাদের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবদেরও রয়েছে অনেক গাফিলতি। একজন মুসলিম মেয়ে যা দেখছে আর যা করছে সেগুলো হচ্ছে অনৈসলামী। এই জন্য আমাদের মেয়েরা যতটা না দায়ী তার থেকে বেশি দায়ী হচ্ছে অভিভাবকরা। একজন মুসলিম কন্যা সন্তানের অভিভাবকের কি কি করণীয় এই বিষয়ের কয়েকটি পরামর্শ উল্লেখ করা হলো।
১. তাদেরকে বুঝতে দিন তারা ভালোবাসার পাত্র : কন্যা সন্তানরা আল্লাহ্র অনুগ্রহ কেননা তারা তরুণ বয়সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের উচিত তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদেরকে এটা জানানো যে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন। সেই সাথে তাদেরকে নবীদের গল্প বলুন এবং বলুন নবীরা তাদেরকে কতটা ভালোবেসেন। সুতরাং তোমরা নবীদের জন্য দোয়া কর।
২. গুরুত্ব দিয়ে কন্যা সন্তানের কথা শুনুন: তাদের সাথে তাদের মত করে কথা বলুন। সেই সাথে তাদেরকে নিশ্চিত করুন আপনি তার এই বিষয়ের চাহিদা সম্পর্কে সচেতন। শিক্ষা ও জীবনে উন্নতি লাভ করার বিষয়ে আপনার মেয়েকে উৎসাহিত করুন। তরুণীদের জন্য এই মৌখিক প্রেরণা খুবই প্রয়োজন সেই সাথে আপনি তাদেরকে এটা বুঝতে দিন যে আপনি তাদের বিশ্বাস করেন।
৩. ভদ্রতা : বর্তমান সময়ে আশেপাশের দোকানগুলোতে যে বস্ত্র পাওয়া যায়, তা ভদ্র পোশাকের সঠিক উদাহারণ নয়। আমাদের কন্যা সন্তানদেকে ছোটবেলা থেকেই ভদ্রতা শেখাতে হবে। হিজাব পড়াতে উৎসাহ দিতে হবে এবং তাদের জীবনে প্রথম হিজাব পরিধানকে উৎযাপন করতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে হিজাব পড়ায় আপনারা তাদের ওপর গর্বিত।
৪. রোল মডেল : আমাদের মেয়েদেরকে ইসলামের অনেক বিখ্যাত নারীদের জীবনি পড়তে হবে। তারা কাকে অনুসরণ করবে এটা তাদের সামনে না থাকলেই তারা পথভ্রান্ত হবে। তাই তাদেরকে বেশকিছু বিখ্যাত মানুষের জীবনি পড়তে হবে। যেমন – ইমরানের মেয়ে মরিয়ম, খোয়লিদের মেয়ে খাদিজা, আমাদের নবীর মেয়ে ফাতেমা, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং আব বকরের মেয়ে আয়েশা। ইসলামের এই সকল নরীদের জীবনী পড়তে আপনার মেয়েকে উৎসাহিত করুন।
৫. ভালোবাসা এবং স্নেহ : ভালোবাসা এবং স্নেহের মাধ্যমে আপনি আপনার মেয়ের সাথে একটি বন্ধন তৈরি করুন। তাকে বুঝতে দিন সে অনেক মূল্যবান। আমাদের নবী (সা.) তার মেয়েকে অনেক ভালোবাসতেন ও স্নেহ করতেন। আমাদের নবী ঘরে থাকা অবস্থায় যদি তার মেয়ে ফাতেমা (রা.) ঘরে প্রবেশ করতেন তাহলে তিনি উঠে দাঁড়াতেন এবং কপালে চুমু খেতেন।
৬. আপনার কন্যা সন্তানকে রহমত মনে করুন : আমাদের নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুটি কন্যা সন্তানকে লালন পালন করে বিবাহ দেবেন সে এবং আমি কিয়ামতের দিন এক সাথে থাকবো।